|
|
|
|
বাগান কর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতের পথে স্নেহাশিসরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কর্তাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন চুক্তিবদ্ধ হয়েও হঠাৎ বাতিল হয়ে যাওয়া মোহনবাগানের একাধিক ফুটবলার। টাকা না পেয়ে বিদেশি ফুটবলাররা আদালতে বা ফিফায় গিয়েছেন এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়। কিন্তু বঙ্গসন্তান ফুটবলাররা সেই রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন— ময়দানে যা অভিনব ঘটনা।
আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে আদালতে যাওয়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে ইতিমধ্যেই ক্লাবকে কড়া ভাষায় চিঠি দিয়েছেন মিডিও স্নেহাশিস চক্রবর্তী। চিঠি দিতে চলেছেন গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য-সহ আরও কয়েকজন বাতিল ফুটবলারও। আদালতে যাওয়ার আগে ফেডারেশন কর্তাদের সঙ্গে পরামর্শ করবেন সেটা অবশ্য জানাচ্ছেন সবাই।
স্নেহাশিসের দাবি, ক্লাবের কাছ থেকে সব মিলিয়ে পান প্রায় ১৬ লাখ টাকা। ২০১৩-১৪ মরসুমের জন্য এ বছর এপ্রিলেই তাঁর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে মোহনবাগান। তা সত্ত্বেও তাঁকে কেন ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে প্রশ্ন তুলে স্নেহাশিস তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, “চুক্তিবদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কোন যুক্তিতে আমাকে রিলিজ করে দেওয়া হচ্ছে? ক্লাবে টাকার যদি এতই অভাব তা হলে ওডাফা ওকোলি কীভাবে টাকা পাচ্ছেন? নতুন ফুটবলারদের হাতে অগ্রিম দিয়ে চুক্তি করা হচ্ছে কীভাবে?” ক্লাব সচিবকে বুধবার রাতে পাঠানো চিঠিতে স্নেহাশিস সব শেষে লিখেছেন, “সাত দিনের মধ্যে আমার চিঠির উত্তর দিন।” আপনার চিঠি কি আদালতে যাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ? স্নেহাশিস বৃহস্পতিবার বললেন, “এখন কিছু বলছি না। দেখি না কী উত্তর দেয়। অনেক রাস্তা খোলা আছে।” |
|
|
বিদ্রোহের দুই মুখ: অরিন্দম ও স্নেহাশিস |
|
এর আগে জাল-সই বিতর্কে জড়িয়ে পড়া স্নেহাশিস ‘অনেক রাস্তা খোলা আছে’ বললেও সবুজ-মেরুনের গতবারের গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য কিন্তু সরাসরিই বলে দিলেন, “আইনজীবীদের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। ফেডারেশন থেকেও জেনে নিয়েছি কীভাবে বকেয়া টাকা পাওয়ার জন্য এগোতে হবে। আমি ক্লাবকে জানিয়ে দিয়েছি রিলিজ তখনই নেব যখন বকেয়া টাকা পাব। অনেক টাকা পাব। দেখি দেয় কী না? না দিলে ফেডারেশন, আদালতের রাস্তা তো খোলাই আছে।” এক ধাক্কায় গত মরসুমের মাত্র আট জন ফুটবলারকে রেখে বাকিদের ছেঁটে ফেলেছে মোহনবাগান। ওই আট জন হলেন শিল্টন পাল, বিশ্বজিৎ সাহা, ইচে, আইবর, ডেনসন দেবদাস, মনীশ ভার্গব, সাবিথ এবং ওডাফা ওকোলি। জানা গিয়েছে, বাতিলদের মধ্যে প্রায় সব ফুটবলারেরই বহু টাকা বকেয়া রয়েছে ক্লাবের কাছে। তাদের অনেকেই স্নেহাশিস, অরিন্দমদের রাস্তায় হাঁটতে চাইছেন। বাতিল অরিন্দমরা বিভিন্ন ক্লাবে খেলার প্রস্তাব পেলেও নির্মল ছেত্রীর মতো কেউ কেউ বিদেশের কোনও ক্লাবে ট্রায়াল দিতে চাইছেন।
স্নেহাশিসের চিঠি প্রকাশ্যে এসে যাওয়ায় বেশ অস্বস্তিতে মোহন-কর্তারা। সচিব অঞ্জন মিত্র বললেন, “সহযোগী স্পনসরদের থেকে এখনও টাকা পাইনি আমরা। আমরাও আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি ওদের বিরুদ্ধে। স্পনসরদের টাকা পেয়ে গেলে বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেব। দীপক মণ্ডলকে আমরা আড়াই বছর পর বকেয়া মিটিয়েছি।” যা শুনে এক ক্ষুব্ধ ফুটবলারের মন্তব্য, “স্পনসররা টাকা না দিলে তার দায় তো কর্তাদের। আমাদের নয়।”
|
|
|
|
|
|