বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিল তাঁর নামও। আর এ বার শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে রাজস্থান রয়্যালসের আর এক ক্রিকেটারকে। বোর্ডের তৈরি দুই সদস্যের কমিটির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সিদ্ধার্থ ত্রিবেদীকে সাসপেন্ড করতে পারে বিসিসিআই।
রাজস্থান রয়্যালসের এই পেসার দিল্লি পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, শ্রীসন্ত, অঙ্কিত চহ্বাণ ও অজিত চান্ডিলাদের ঘটনার আগে তাঁকে একাধিক বার বুকিরা স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন। নিয়ম অনুযায়ী এ রকম কিছু ঘটে থাকলে যে কোনও ক্রিকেটারেরই বোর্ডের দূর্নীতি দমন বিভাগের কাছে তা জানানো উচিত। বোর্ডের আইনে এ রকম কিছু হওয়া সত্ত্বেও তা না জানানোটা অপরাধ। ২.৪.২ ধারা সেই কথাই বলছে। গুজরাতি ক্রিকেটার সিদ্ধার্থ সেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিতে গিয়েছিলেন বলেই তাঁকে শাস্তি পেতে হতে পারে বলে বোর্ড সূত্র জানা গিয়েছে। এ দিন বোর্ডের এক কর্তা জানান, তাঁকে সাসপেন্ড করার আগে শো কজ করা হতে পারে বা দুটোই একসঙ্গে করা হতে পারে।
এ দিকে, ক্রিকেটজুয়ার কবল থেকে ভারতীয় ক্রিকেটকে কলঙ্কমুক্ত করতে প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট আইএস বিন্দ্রা এ দিনও তোপ দাগতে ছাড়েননি দেশের বর্তমান ক্রিকেট প্রশাসকদের। নিজের ব্লগে তিনি লিখেছেন, ‘‘কেবল ক্রিকেটারদের দোষারোপ করলেই চলবে না। ক্রিকেটকে কলঙ্কমুক্ত করতে গেলে প্রশাসকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।”
অন্য দিকে, ২৩ জুন আইসিসি-র বার্ষিক সভায় ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব কে করবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে ক্রিকেট মহলে। বোর্ডের এক কর্তা বৃহস্পতিবার সংবাদসংস্থাকে জানান, জগমোহন ডালমিয়ারই লন্ডনে ওই সভায় যাওয়ার কথা। যে হেতু তিনিই আপাতত ভারতীয় বোর্ডের প্রধান, তাই হিসেব মতো তাঁরই আইসিসি-তে যাওয়া উচিত। তবে ডালমিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ দিন বলেন, “এই ব্যাপারে এখনও কিছু ঠিক করিনি। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেব যাব কি না।”
আইসিরি-র সভায় ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা ডিআরএস নিয়ে ঝড় উঠলে তা কী ভাবে সামলাবে ভারত, এটাই এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। ডালমিয়া এ দিন বলেন, “ডিআরএস নিয়ে বোর্ডের একটা অবস্থান তো রয়েছেই। তবে এই ব্যাপারে বিস্তারিত না জেনে আমার পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয়।”
|