লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদী যে তাঁদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ, কংগ্রেস নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় তা স্বীকার করেন। কিন্তু প্রকাশ্যে তা বলে ফেলে, দলের কোপে পড়েছেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ! মোদীকে ভস্মাসুরের সঙ্গে তুলনা করায় বিজেপি-ও আজ মুণ্ডপাত করে তাঁর।
জয়রাম কাল বলেছিলেন, “মোদী কংগ্রেসের সামনে চ্যালেঞ্জ বৈকি। শুধু ভোটের লড়াইয়ের দিক থেকে নয়, মতাদর্শগত ভাবেও মোদী কংগ্রেসের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।” তাঁর এই মন্তব্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় দলে। কারণ, কংগ্রেস নেতারা এত দিন বলে এসেছেন যে, মোদীর প্রভাব কেবল গুজরাতে সীমিত। কিন্তু জয়রামের মন্তব্য এই বার্তাই দেয় যে, বাইরেও মোদীর প্রভাব রয়েছে এবং কংগ্রেস সে ব্যাপারে চিন্তিতও। দলের মুখপাত্র শাকিল আহমেদ তাই বলেন, “মোদী বিজেপি ও এনডিএ-র অন্দরে চ্যালেঞ্জ হতে পারেন, কিন্তু কংগ্রেসের কাছে আদৌ চ্যালেঞ্জ নন।” আহমেদের দাবি, “জয়রাম যা বলেছেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত মত। দলের নয়।” কংগ্রেসের সত্যব্রত চতুর্বেদী বলেন, “মোদীর ভোট-প্রস্তুতিকে যদি জয়রামের এতই ভয়, তবে তিনি মোদীর দলে নাম লেখাতে পারেন।”
জয়রাম বিজেপি-রও আক্রমণের নিশানা। কাল তিনি বলেছিলেন, “ভস্মাসুর তার সৃষ্টিকর্তাকেই খতম করতে চেয়েছিল। মোদীও খেয়ে ফেলতে চাইছেন আডবাণীকে। মোদী আধুনিক ভারতের ভস্মাসুর।” বিজেপি-র মুখপাত্র প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, “মোদীকে কংগ্রেস কতটা ভয় পাচ্ছে, এটা তারই প্রমাণ। মানুষই এই নিম্নরুচির মন্তব্যের জবাব দেবেন।”
কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা মনে করেন, মোদী সম্পর্কে জয়রাম ভুল কিছু বলেননি। তবে মোদীকে ঘিরে বিজেপি-এনডিএ-র কোন্দলই সংবাদমাধ্যমের বড় খোরাক। ভোটের আগে বিজেপির এই দ্বন্দ্ব যাতে আরও বেশি প্রচার পায় তার জন্য কংগ্রেস চুপ থাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর মধ্যে নয়া বিতর্ক তৈরি করাটা বুদ্ধিমত্তা নয়। জয়রামের বোঝা উচিত ছিল।
|