|
|
|
|
ভোটের মুখে তিস্তা-বৈঠকে মন্ত্রীকে পাঠাচ্ছেন না মমতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে তিস্তা নিয়ে নতুন করে আর জলঘোলা চান না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত, এই মুহূর্তে এই বিতর্কিত বিষয়টিতে বাংলাদেশের সঙ্গে কোনও আলোচনা নয়। সোমবার ঢাকায় যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে তাই সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো হচ্ছে না।
মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না, ভোটের মুখে রাজ্যবাসীর কাছে কোনও ‘ভুল বার্তা’ যাক। কেন্দ্র রাজি থাকলেও রাজ্যবাসীর স্বার্থের কথা বলেই তিনি বাংলাদেশকে তিস্তার বাড়তি জল দেওয়ার বিষয়ে আপত্তি করেছিলেন। মমতার যুক্তি, ক্রমশ শুকিয়ে আসা তিস্তার অতিরিক্ত জল বাংলাদেশকে দেওয়া হলে উত্তরবঙ্গে তিস্তা অববাহিকার চাষবাস লাটে উঠবে। মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন, ভোটের মুখে রাজ্যের সেচমন্ত্রী আলোচনার জন্য বাংলাদেশে গেলে এই অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সরকারের অবস্থান সম্পর্কে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। ভোটের বাক্সেও তার প্রতিফলন পড়তে পারে। মুখ্যমন্ত্রীর এই মনোভাব জেনেই সোমবার ঢাকায় ভারত-বাংলাদেশ নদী কমিশনের বৈঠকে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ খারিজ করে দিয়েছেন সেচ ও জলপথ মন্ত্রী রাজীববাবু। তবে এর
জন্য তিনি পঞ্চায়েত ভোটকেই কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন। সেচমন্ত্রী বলেন, “ওই বৈঠকে থাকার জন্য কেন্দ্রের কাছ থেকে আমন্ত্রণ এসেছিল। কিন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সেটা সম্ভব হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বয়ে যাওয়া নদীগুলির জলপ্রবাহ এবং অন্য বিষয়ে কথার জন্য নদী কমিশন প্রত্যেক বছর বৈঠকে বসে। দু’দেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের মন্ত্রী, সচিব এবং বিশেষজ্ঞরা ছাড়া অসম, পশ্চিমবঙ্গের মতো যে সব রাজ্যর মধ্যে দিয়ে দীগুলি গিয়েছে, তার জলসম্পদ মন্ত্রীদেরও বৈঠকে ডাকা হয়। আগের বৈঠকে স্থির হয়েছিল, সারা বছর তিস্তায় কত বয়, দু’দেশ যৌথ ভাবে তা খতিয়ে দেখে রিপোর্ট বানাবে। ড্রেজিং করে ইছামতীর নাব্যতা বাড়ানো, ফরাক্কা বাঁধ নিয়েও আলোচনা হয়েছিল। এগুলির অগ্রগতি নিয়ে বৈঠকে কথা হতে পারে। কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের বক্তব্য, কোনও নদীর জলবণ্টন নিয়ে সিদ্ধান্তে আসার আগে সেখানকার অন্তত গত দশ বছরের জল সংক্রান্ত পরিসংখ্যান প্রয়োজন। নীতিগত ভাবে বাংলাদেশকে জল দিতে আপত্তি নেই। কিন্তু তার আগে বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
|
পুরনো খবর: রাজ্যের স্বার্থ রক্ষা করেই চুক্তি, তিস্তার জলবণ্টনে সায় মমতার |
|
|
|
|
|