নিজেদের সংস্থায় বিদেশি বিনিয়োগ আনার পথে বড়সড় ধাক্কা খেল জেট বিমানসংস্থা। এই সংস্থায় প্রায় ২০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার কথা আবু ধাবি-র বিমানসংস্থা ইতিহাদ-এর। সেই মতো প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীনে ফরেন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমোশনাল বোর্ড (এফআইপিবি)-এর কাছে। শুক্রবার এফআইপিবি তাদের বৈঠকে জেট-ইতিহাদ যৌথ উদ্যোগের প্রস্তাবে সায় দিল না। দুই সংস্থার কাছ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা চাইল এই বোর্ড।
বিমান মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, জেট-ইতিহাদ যৌথ উদ্যোগের ক্ষেত্রে প্রধানত দু’টি বিষয়ে আপত্তি তুলেছে এফআইপিবি। প্রথমত, নতুন বিমানসংস্থার মালিকানা কার হাতে থাকবে তা এই প্রস্তাব অনুযায়ী পরিষ্কার হয়নি। প্রশ্ন উঠেছে, ইতিহাদ যেখানে ২৪ শতাংশ বিনিয়োগ করছে, সেখানে মালিকানা হস্তান্তর হওয়ার কথা নয়। এখন জেট-এর মালিকানা নরেশ গয়ালের হাতে। বিদেশি বিনিয়োগ হলেও মালিকানা ভারতীয় সংস্থার হাতেই রাখতে হবে, কেন্দ্রের তরফে এমনই শর্ত রাখা হয়েছিল বিনিয়োগের রাস্তা খোলার সময়ে। এই বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, প্রস্তাব অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, বিনিয়োগের পরে টিকিট তৈরি থেকে শুরু করে বহু গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক বিষয় আবু ধাবি-তে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। অভিযোগ, এ ক্ষেত্রেও কেন্দ্রের শর্ত মানা হচ্ছে না। বিমান মন্ত্রকের এক কর্তার কথায়, “ভারতীয় এক বিমানসংস্থার আর্থিক বিষয় এ ভাবে অন্য দেশ থেকে পরিচালনার অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয়।”
২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতীয় বিমানসংস্থায় বিদেশি বিনিয়োগের রাস্তা খুলে দেয় কেন্দ্র। শুরু হয় জেট ও ইতিহাদের যৌথ উদ্যোগ। বিমানমন্ত্রী অজিত সিংহের বক্তব্য, প্রাথমিক সমস্যা থাকলেও এই যৌথ উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে।
মালয়েশিয়ার বিমানসংস্থা এয়ার এশিয়া ইতিমধ্যেই টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের প্রস্তাব দিয়েছে। সেই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে এফআইপিবি। জেট-ইতিহাদের যৌথ উদ্যোগে এফআইপিবি সায় দেওয়ার পরে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেবে মন্ত্রিগোষ্ঠী। তত দিন অপেক্ষা করতে হবে নরেশ গয়ালকে।
|