আগামী সপ্তাহেই জেট এয়ারওয়েজের অবস্থা খতিয়ে দেখার (ডিউ-ডিলিজেন্স) কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছে এতিহাদ। আর তা শেষ হলে, নরেশ গোয়েলের সংস্থায় অংশীদারি কেনার প্রস্তাব নিজেদের পরিচালন পর্ষদে পেশ করবে তারা। সেখানে ছাড়পত্র পেলে, ভারতের বিমান পরিবহণ ক্ষেত্রে প্রথম বিদেশি বিনিয়োগ আসবে আবু ধাবি-ভিত্তিক বহুজাতিকটির হাত ধরে।
গত সেপ্টেম্বরে কেন্দ্র বিমান পরিবহণে বিদেশি লগ্নির দরজা খোলার পর কয়েক মাস ধরেই জেট-এতিহাদের হাত মেলানো নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সম্ভাবনা অস্বীকার করেনি দুই সংস্থাই। সোমবার এতিহাদ এয়ারওয়েজের প্রেসিডেন্ট এবং সিইও জেমস হোগান বলেন, “আগামী সপ্তাহেই জেটের বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখব। তার পর তা পেশ করা হবে পরিচালন পর্ষদের কাছে।” তবে কী দামে জেটের কতটা অংশীদারি এতিহাদ কিনতে পারে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটেছে দু’পক্ষই।
তবে ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আপাতত ১,৮০০ কোটি টাকায় জেটের ২৪% শেয়ার কিনবে এতিহাদ। এই গাঁটছড়ার পথ মসৃণ করতে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম, বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা এবং বিমান পরিবহণ মন্ত্রী অজিত সিংহের সঙ্গে দেখা করেছেন দুই সংস্থার শীর্ষ কর্তারা। অনেকে মনে করছেন, দুই সংস্থার গাঁটছড়ার পরে জেটের পরিচালন পর্ষদে এতিহাদের প্রতিনিধি আসবেন নিশ্চয়ই। তবে চেয়ারম্যান থাকবেন জেটের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গোয়েলই। সিইও-ও হবেন কোনও ভারতীয়।
এর আগে ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া, এয়ার বার্লিন, এয়ার সেশেলস্-সহ বেশ কয়েকটি সংস্থায় শেয়ার কিনেছে এতিহাদ। তার উপর আবার এ দিনই ২০১২ সালে নিট মুনাফা ২০০% বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে তারা। ডিসেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে মুনাফা করেছে জেট-ও। তাই সব মিলিয়ে জেট এয়ারে এতিহাদের লগ্নির সম্ভাবনা এই মুহূর্তে প্রবল বলে মনে করছেন অনেকে। |