ভোডাফোনের পর রয়্যাল ডাচ শেল। কেন্দ্রীয় কর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে এ বার চ্যালেঞ্জ করল আর এক বহুজাতিক। সোমবার ওই অ্যাংলো-ডাচ তেল সংস্থার ভারতীয় শাখা শেল ইন্ডিয়া জানিয়েছে, কর ফাঁকি নিয়ে পাঠানো নোটিসের বিরোধিতা করবে তারা।
২০০৯ সালে শেল ইন্ডিয়ায় ৮৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে মূল সংস্থা শেল গ্যাস বিভি। এর জন্য ১০ টাকা দামের ৮.৭০ কোটি শেয়ার তাদের দেয় শেল ইন্ডিয়া। কিন্তু কর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তখন শেয়ারের দাম ইচ্ছাকৃত ভাবে কমিয়ে দেখিয়েছিল সংস্থা। তাদের হিসাব অনুযায়ী, তা হওয়া উচিত ১৮৩ টাকা। কর্তৃপক্ষের দাবি, এর ফলে, ১৫,২২০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন কমিয়ে দেখিয়েছে শেল। ফলে ওই অঙ্কের উপর কর ফাঁকির অভিযোগ বর্তাচ্ছে তাদের উপর।
কিন্তু শেল ইন্ডিয়ার দাবি, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ভারত-সহ পৃথিবীর সব দেশে কর সমেত সমস্ত স্থানীয় আইন ও নিয়মকানুন মেনে চলে তারা। সংস্থার মতে, এ ক্ষেত্রে কর আইনের ভুল ব্যাখ্যা থেকেই যাবতীয় জটিলতার সূত্রপাত। তাদের অভিযোগ, এ ক্ষেত্রে কার্যত বিদেশি বিনিয়োগের উপর অন্যায্য ভাবে কর চাপাতে চাইছেন কর্তৃপক্ষ। যা শুধু আইন-বিরোধী নয়, লগ্নি টানতে সম্প্রতি বিদেশ সফরে গিয়ে অর্থমন্ত্রীর বলা কথারও পরিপন্থী। শুধু তা-ই নয়, তখন নিরপেক্ষ মূল্যায়নকারী শেয়ারের দর ১০ টাকার কম নির্ধারণ করেছিলেন বলেও সংস্থার দাবি।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে হংকঙের মোবাইল পরিষেবা বহুজাতিক হাচিসন-এসারে হাচিসনের ৬৭% শেয়ার প্রায় ১,১০০ কোটি ডলারে কেনে ব্রিটিশ বহুজাতিক ভোডাফোন। কিন্তু এ জন্য কেন্দ্রকে কর দেয়নি তারা। তাদের দাবি ছিল, এটি দুই বিদেশি সংস্থার মধ্যে আর্থিক চুক্তি। তা সইও হয়েছে বিদেশের মাটিতে। ফলে, কোনও কর দাবি করতে পারে না কেন্দ্র। উল্টো দিকে কেন্দ্রের দাবি ছিল, ব্যবসার একটা বড় অংশ ভারতে হওয়ার দরুন ১২ হাজার কোটি টাকা কর (জরিমানা-সহ) তাদের প্রাপ্য। এ নিয়ে দীর্ঘ দড়ি টানাটানির এখন দ্রুত অবসান চাইছে কেন্দ্র। এ দিনও ভোডাফোন কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে তাদের। |