ফের কমলো সার্বিক মূল্যবৃদ্ধির হার। এই নিয়ে টানা চার মাস। শুক্রবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মে মাসে ওই হার দাঁড়িয়েছে ৪.৭০%। যা গত সাড়ে তিন বছরে সব থেকে কম।
গত কালই শিল্প বৃদ্ধির হার কমেছে। তাই তার পর মূল্যবৃদ্ধি হ্রাসের এই খবরে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদ কমানোর আশায় বুক বেঁধেছে শেয়ার বাজার। যে কারণে গত তিন দিন ধরে পড়ার পর এ দিন তা চাঙ্গা হয়েছে। এক লাফে প্রায় ৩৫১ পয়েন্ট উঠে ফের ১৯ হাজারের ঘরে ঢুকে পড়েছে সেনসেক্স। দিনের শেষে তার দৌড় থেমেছে ১৯১৭৭.৯৩ অঙ্কে। |
আগামী সোমবারই ঋণনীতি পর্যালোচনায় বসবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তার ঠিক আগে মূল্যবৃদ্ধির গত ৪৩ মাসের মধ্যে সব থেকে নীচে নেমে আসা প্রত্যাশিত ভাবেই অক্সিজেন জুগিয়েছে শেয়ার বাজারকে। বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, শিল্প বৃদ্ধির হার কমার পর এ বার মূল্যবৃদ্ধিও হ্রাস পাওয়ায় সোমবার সুদ কমার সম্ভাবনা প্রবল। বাজারে টাকার জোগান বাড়াতে কমানো হতে পারে নগদ জমার অনুপাতও (সিআরআর)। তবে উল্টো মতও আছে। অনেকে আবার মনে করছেন, এ সপ্তাহে উদ্বেগজনক ভাবে পড়েছে ডলারে টাকার দাম। তাই তার জেরে আগামী দিনে মূল্যবৃদ্ধি ফের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা। সুতরাং এই পরিস্থিতিতে শীর্ষ ব্যাঙ্ক সুদ হ্রাসের ঝুঁকি নেবে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে।
শুক্রবার অবশ্য কিছুটা স্বস্তি দিয়েছে টাকা। বাজার ওঠায় ও রফতানিকারীরা ডলার বিক্রি করার দরুন ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম বাড়ে ৪৭ পয়সা। দিনের শেষে প্রতি ডলার দাঁড়িয়েছে ৫৭.৫১ টাকা।
পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা মূল্যবৃদ্ধির এই হার কমার পর এ দিন আবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে সুদ আরও কমানোর পক্ষে সওয়াল করেছে কেন্দ্র এবং শিল্পমহল। যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়া বলেন, “মূল্যবৃদ্ধির চাপ হালকা হচ্ছে সেটা স্পষ্ট। বিষয়টি নিশ্চয়ই বিবেচনা করবে আরবিআই।”
উল্লেখ্য, এ দিনের পরিসংখ্যান জানিয়েছে, মূল্যবৃদ্ধির হার নামার কারণ প্রধানত উৎপাদন শিল্পে তা কমে যাওয়া। গত এপ্রিলের ৩.৪১% থেকে কমে তা হয়েছে ৩.১১ শতাংশ। কিন্তু পেঁয়াজ, সব্জি, শস্য, মাছ-মাংস-ডিম ইত্যাদির হাত ধরে খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার এ বার ঊর্ধ্বমুখী। |