অনুব্রতের নামে মামলা, শুরু তদন্তও
ঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজ্য নির্বাচন কমিশনই যে শেষ কথা, বৃহস্পতিবারেই তা জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর তার পরের দিনেই কমিশনের নির্দেশ মেনে বীরভূম জেলা প্রশাসন শাসক দল তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে দিল। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রামপুরহাট আদালতে আবেদন জানিয়েছে জেলা পুলিশ। সেই সঙ্গে রামপুরহাটের কর্মিসভায় ওই নেতা কী বলেছিলেন এবং মনোনয়নপত্র পেশ পর্বে তার প্রভাব পড়েছে কি না, সেই ব্যাপারে পুলিশি তদন্তও শুরু হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে ২ জুন রামপুরহাটে দলের এক কর্মিসভায় অনুব্রতবাবু বলেন, “কংগ্রেস-সিপিএম আমাদের শত্রু। ওদের কাউকে মনোনয়ন পেশ করতে দেবেন না। দরকার হলে আমাকে ডাকবেন। আমি আপনাদের পাশে থাকব।” বীরভূমের এসপি মুরলীধর শর্মা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট পাঠিয়ে জানান, অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে রামপুরহাট থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কমিশনের নির্দেশ মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এক কর্তার কথায়, “কমিশন পঞ্চায়েত আইনের ১৭১/সি ধারায় ব্যবস্থা নিতে বলেছে। আইনে অপরাধ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছর কারাদণ্ড এবং এক হাজার টাকা জরিমানা হতে পারে। আদালতের নির্দেশ ছাড়া অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।”
কমিশন পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার ওসি-কে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। বর্ধমান, কোচবিহার এবং ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার তিন এসপির ভূমিকা নিয়েও পুলিশ-প্রশাসনের কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে কমিশন। ওই তিন অফিসারকে সতর্ক করা হয়েছে কি না, তা-ও কমিশনকে জানায়নি রাজ্য। কমিশন এখন ওই অফিসারদের বিরুদ্ধেও কড়া মনোভাব নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.