জেলাশাসকের বাংলো লাগোয়া বহরমপুর সার্কিট হাউসে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ‘ভাঙচুর’-এর ঘটনায় জেলা কংগ্রেসের ১০ নেতার জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। ওই নেতাদের মধ্যে রয়েছেন বহরমপুরের বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী ছাড়াও রয়েছেন বহরমপুর শহর কংগ্রেসের সভাপতি অতীশ সিংহ (কাল্টু), বহরমপুরের কাউন্সিলর গোপাল সিংহ ও হিরু হালদার, বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিলাদিত্য হালদার ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গৌতম সান্যাল, জেলাপরিষদ সদস্য বিনয় হালদার ওরফে অসিত, ভাকুড়ি-১ পঞ্চায়েত প্রধান মণিশঙ্কর মণ্ডল ও জেলা কমিটির সদস্য জয়ন্ত দাস। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অধীর চৌধুরী বলেন, “ওই দিন জেলাশাসক আমাদের স্মারকলিপি নিতে অস্বীকার করে জনপ্রতিনিধিদের অপমান করেন। এতে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস কর্মীরা কিছু ফুলের টব ভাঙচুর করে। তৃণমূল নেত্রীকে খুশি করতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে জেলা পুলিশ সুপার মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে।”
|
গিরিয়া ও সেকেন্দ্রা গ্রাম পঞ্চায়েতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আনল সিপিএম ও তৃণমূল। তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য শেখ ফুরকান বলেন, “রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের ওই দু’টি পঞ্চায়েতে কংগ্রেস আমাদের কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে। তাই গিরিয়ায় ৩টি ও সেকেন্দ্রায় ১০টি আসনে প্রার্থী দিয়েই আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।” সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সোমনাথ সিংহ রায় বলেন, “কংগ্রেসের হুমকিতে আমরা গিরিয়ায় কোনও আসনেই প্রার্থী দিতে পারিনি। সেকেন্দ্রায় ১২টিতে প্রার্থী দিয়েছি।” অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ব্লক কংগ্রেসের সম্পাদক প্রকাশ সাহা বলেন, “তৃণমূল ও সিপিএমের জনভিত্তি নেই। সহানুভূতি পেতে সন্ত্রাসের গল্প ফাঁদা হচ্ছে।”
|
নির্বাচনী বিধি ভাঙায় অভিযুক্ত রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী মঙ্গলবার ফৌজদারি আদালতের প্রথম বিচারবিভাগীয় বিচারক সুতীর্থ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজলাসে আত্মসমর্পণ করেন। রেলের প্রতিমন্ত্রীকে ২০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দেন বিচারক। মামলার পরবর্তী দিন ১০ সেপ্টেম্বর। জামিন পাওয়ার পর অধীর বলেন, “নির্বাচনী বিধি ও বিধিভঙ্গের অভিযোগকে সম্মান দিতেই আদালতে আত্মসমর্পণ করেছিলাম।” গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রেজিনগর বিধানসভার উপনির্বাচন ছিল। ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি রেজিনগরেকংগ্রেসের দু’টি নির্বাচনী জনসভায় বিধি ভেঙে মাইক ও মঞ্চ ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। |