মেঘালয় শিক্ষা বিভাগের জবাব চাইলেন রাজ্যপাল
বেআইনি ভাবে শিক্ষা দফতরের কাছে জমা রাখা বিশ্ববিদ্যালয় তহবিলের (এনডওমেন্ট ফান্ড) থেকে ২ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন মেঘালয়ের বিতর্কিত সিজেএম বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক চন্দ্রমোহন ঝা। রাজ্যপালের প্রধানসচিব এম এস রাও এ কথা জানিয়ে বলেন, “রাজ্যপালের দফতর এই বিষয়ে শিক্ষা দফতরের জবাব চেয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝা নিজের ব্যাঙ্কে দু’দিনের জন্য টাকাটি রেখে পরে তা তুলে নেন।” রাওয়ের বক্তব্য, এই পরিস্থিতিতে ওই অর্থ শিক্ষা দফতরের হাতে থাকলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের টাকা ফেরত দিতে সুবিধা হত। শিক্ষা দফতরকে এ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তাদের সব নথি রাজ্য সরকারের কাছে জমা দিতে বলেছেন। যে সব ছাত্রছাত্রী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল, তাদের ভর্তি বাবদ নেওয়া অর্থ সুদ-সমেত ফেরত দিতেও বলা হয়। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে কোনও জবাব দেয়নি।
গত কাল রাজ্য সরকারের কাছে নথিপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। সিএমজে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনি উপদেষ্টা এস পি শর্মা জানান, পুলিশ ও সিআইডি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দফতরে হানা দিয়ে বহু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। সেগুলি ফেরত না পেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তরফে সব হিসেব করা সম্ভব নয়। সিআইডি হেফাজত থেকে বাজেয়াপ্ত হওয়া নথিপত্র ফেরত পাওয়ার জন্য শর্মা আদালতে আবেদন জানালেও সেই আবেদন গ্রাহ্য হয়নি।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেফতার হওয়া রেজিস্ট্রার এম কে দেব, ডেপুটি রেজিস্ট্রার প্রেমলাল রাই এবং আত্মসমর্পণ করা এইচ আর ম্যানেজার জুবান খারপুরি ও অধিকর্তা মনজিৎ কউরকে জামিন দিয়েছে আদালত। ফেরার মালিক চন্দ্রমোহন ঝায়ের নামে আগেই জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করা হয়েছে।

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.