খাদ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) জারি করার ব্যাপারে ফের তৎপর হল মনমোহন সিংহের সরকার। কেন্দ্রে সরকারের শীর্ষ সূত্রে বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভায় আলোচনার জন্য যে সূচি প্রস্তুত করা হয়েছে, তাতে চতুর্থ স্থানে রাখা হয়েছে খাদ্য সুরক্ষা বিল সংক্রান্ত অর্ডিন্যান্সকে। এ ব্যাপারে ৯৩ পৃষ্ঠার একটি নোটও মন্ত্রিদের কাছে আজ পাঠানো হয়েছে। সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, মন্ত্রিসভার ওই বৈঠকেই অধ্যাদেশে অনুমোদন দেওয়া হতে পারে।
এর আগে একবার মন্ত্রিসভায় অধ্যাদেশ আনার প্রস্তুতি নিয়েও পিছিয়ে আসে সরকার। সরকারের শীর্ষ সূত্রে বলা হয়, অর্ডিন্যান্স জারি করার ব্যাপারে আপত্তি রয়েছে ইউপিএ-র অন্যতম শরিক নেতা তথা কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শরদ পওয়ারের।
খাদ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে ফের কেন ফের তৎপর হচ্ছে মনমোহন সরকার? কংগ্রেস সূত্রে বলা হচ্ছে, ক্ষমতা দখল নিয়ে যখন বিজেপিতে গৃহযুদ্ধ চলছে, তখন খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে অডির্ন্যান্স জারি করে দেশের সামনে ফারাকটা তুলে ধরতে চাইছে কংগ্রেস।
ক্যাবিনেটের তরফে খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে যে নোট সরবরাহ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, মূলত দু’টি কারণে সরকার অর্ডিন্যান্স জারি করতে চাইছে। এক, ২০০৯ সালে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের প্রথম বাজেট অধিবেশনের যৌথ সভায় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটিল তাঁর বক্তৃতায় বলেছিলেন, সরকার মানুষের খাদ্য সুরক্ষার জন্য আইন পাশ করাবে। তার পর চার বছর কেটে গিয়েছে। তাই আর দেরি করতে চাইছে না সরকার। দ্বিতীয়ত, বিলটি সংসদে পাশ করানোর ব্যাপারে সরকার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাতে বাধা পেয়েছে। তাই অর্ডিন্যান্স আনতে বাধ্য হল সরকার।
তবে সন্দেহ নেই, সরকার শেষ পর্যন্ত খাদ্য সুরক্ষা বিল নিয়ে অর্ডিন্যান্স জারি করলে বিজেপি, বাম দল-সহ বিরোধীরা তাতে আপত্তি জানাবেন। কারণ বিরোধীদের বক্তব্য, এত গুরুত্বপূর্ণ বিল সংসদে আলোচনা না করে পাশ করানো ঠিক নয়। পাল্টা যুক্তি দিতে গিয়ে কংগ্রেস নেতারা বলছেন, খাদ্য সুরক্ষা নিয়ে অর্ডিন্যান্স আনলেও ছয় সপ্তাহের মধ্যে তা সংসদের উভয়কক্ষে পাশ করাতে হবে। ফলে তখন এ ব্যাপারে সংসদে সবিস্তার আলোচনা হবে।
|