পুলিশ তাদের মতো তদন্ত চালাচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টের অধীনে তদন্তের আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থের মামলাও হয়েছে। এর মধ্যেই বারাসতের গণধর্ষণ ও খুন নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পৃথক তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। একই সঙ্গে ব্যারাকপুরে সাংবাদিক-নিগ্রহের ঘটনা নিয়েও তদন্ত করাচ্ছে তারা।
কমিশন সূত্রের খবর, বারাসতের ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের আইজি (দক্ষিণবঙ্গ)-কে। আর ব্যারাকপুরের ঘটনার তদন্ত করবেন কমিশনের এডিজি। সোমবার কমিশনের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায় এবং দুই সদস্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নারায়ণচন্দ্র শীল ও সৌরীন রায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই দু’টি ঘটনার তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বারাসতে ধর্ষণ-খুনের তদন্ত করে রাজ্য পুলিশের আইজি (দক্ষিণবঙ্গ)-কে দু’সপ্তাহের মধ্যে কমিশনে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যারাকপুরে সাংবাদিক-নিগ্রহের তদন্ত রিপোর্ট তিন সপ্তাহের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে কমিশনের এডিজি-কে।
বারাসত ধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদে এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্মারকলিপি দিতে মহাকরণে যান পশ্চিমবঙ্গ নারী ও মানবাধিকার কর্মী সংগঠনের এক দল প্রতিনিধি। কিন্তু সাক্ষাতের আগাম অনুমতি না-থাকায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের সামনে ওই প্রতিনিধিরা প্রায় দেড় ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। চলে যাওয়ার মুখে তাঁরা স্মারকলিপিটি দেন মহাকরণের ওসি-কে। ওই প্রতিনিধিদলের তরফে শাশ্বতী ঘোষ জানান, স্মারকলিপিতে বারাসত ধর্ষণ কাণ্ডের তদন্ত দ্রুত শেষ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানানো হয়েছে। শাশ্বতীদেবীরা জানান, বারবার বারাসতে নারী-নিগ্রহের ঘটনা ঘটছে। ওই সব ঘটনায় দায়ী পুলিশ অফিসারদের অবিলম্বে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া এবং মেয়েদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয়েছে স্মারকলিপিতে। |