এক কলেজছাত্রীর বিবস্ত্র ও ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বারাসত থানা এলাকার কামদুনিতে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, যৌন অত্যাচার চালিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে। ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই বহু মানুষ পথে নেমে পড়েন। পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মৃতদেহ তুলতে গিয়ে জনতার ইটপাটকেলের মুখে পড়ে পুলিশ।
কয়েক বছর আগে দুষ্কৃতীদের হাতে দিদির লাঞ্ছনা রুখতে গিয়ে বারাসত শহরে খুন হন রাজীব দাস নামে এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। তার পরেও দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যের জন্য বারাসত থানার অধীন বিভিন্ন এলাকা বারবার শিরোনামে এসেছে। প্রশাসনের তরফে ঢাকঢোল পিটিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস সত্ত্বেও বারাসত যে বারাসতেই রয়ে গিয়েছে, এ দিনের ঘটনায় ফের তা প্রমাণিত। কী ঘটেছিল এ দিন?
পুলিশ জানায়, ডিরোজিও কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী শুক্রবার দুপুরে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বেলা আড়াইটে নাগাদ তাঁকে কামদুনি বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামতেও দেখেছিলেন এলাকার কয়েক জন। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত তিনি বাড়ি না-ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকেরা। পুলিশেও খবর দেওয়া হয়। রাতে স্থানীয় খড়িবাড়ি রোডের ধারে আটবিঘায় একটি পাঁচিল ঘেরা জমিতে ওই ছাত্রীর নগ্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ চলতে থাকে। পুলিশকে লক্ষ করে ইটপাটকেলও ছোড়া হয়। বিশাল বাহিনী নিয়ে পৌঁছে যান উত্তর ২৪ পরগনার পুলিশকর্তারা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকায় নানা ধরনের দুষ্কর্ম চলে। পুলিশকে বারবার জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যেখানে ছাত্রীর দেহ মিলেছে, কারখানার জন্য সেই জমিতে পাঁচিল দেওয়া হয়েছিল। ওই জমির কেয়ারটেকার আনসার আলিকে আটক করেছে পুলিশ।
|