|
|
|
|
ফের বারাসত |
স্কুলছাত্রীর নিগ্রহ রুখে বাবা প্রহৃত, অভিযুক্ত কাউন্সিলর |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বারাসত |
ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি-সহ নারী-নিগ্রহ নিয়ে দিল্লি-কলকাতায় যতই তুলকালাম চলুক, বারাসত আছে বারাসতেই।
শনিবার বারাসতের উত্তর অশ্বিনীপল্লিতে এক কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করতে করতে পিছু নেয় এক তরুণ। তাকে তখনকার মতো বাধা দিয়ে ওই তরুণের নামে থানায় ডায়েরি করেন কিশোরীর বাবা।
রবিবার ওই তরুণের পক্ষ নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সজল ভট্টাচার্য এবং তাঁর দলবল মেয়েটির বাবাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। মেয়েটির বাবা পরে বারাসত থানায় কাউন্সিলরের নামে এফআইআর করে জানান, ওই তৃণমূল নেতা তাঁর ভাইপো।
সপ্তাহখানেক আগেই বারাসতের জগন্নাথপুরে ইটভাটার কাজ থেকে ফেরার সময় দুষ্কৃতীদের আক্রমণের মুখে পড়েন মাঝবয়সি এক দম্পতি। মহিলাকে গণধর্ষণের পরে খুন করার অভিযোগ ওঠে। পরে তাঁর দেহ পাওয়া যায় ইটভাটার কিছুটা দূরে। দুষ্কৃতীরা তাঁর স্বামীকে মারধর করে গলায় অ্যাসিড ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই ফের কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করা এবং বাধা পেয়ে মারধরের ঘটনা ঘটল বারাসতে। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে দিদি রিঙ্কু দাসকে বাঁচাতে গিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রাজীব দাস খুন হওয়ার পরেও বারাসতে তরুণী-নিগ্রহের অনেক ঘটনা ঘটেছে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন শনি-রবিবারের ঘটনা।
পুলিশের কাছে পেশ করা অভিযোগে কিশোরীর বাবা জানান, তাঁর মেয়ে বারাসত গার্লস হাইস্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী। এলাকার এক তরুণ কয়ের দিন ধরে তাঁর মেয়েকে নানা ভাবে উত্ত্যক্ত করছিল। মেয়ের মুখে ওই কথা শোনার পরে শনিবার তিনি স্কুল ছুটির পরে মেয়েকে আনতে যান। রাস্তায় বেরিয়ে দেখেন, মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতে করতে পিছু পিছু আসছে ওই তরুণ। তিনি তখনকার মতো কোনও মতে ছেলেটিকে ঠেকান। ছেলেটিকে ধরে বারাসতের মহিলা থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ছেলেটি তাঁর হাত ছাড়িয়ে পালিয়ে যায়।
কিশোরীর বাবার অভিযোগ, ওই ঘটনার পরের দিন তাঁর ভাইপো, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সজল ভট্টাচার্য তাঁকে মারধর করেন। সজলবাবু অবশ্য বলেন, “এটা নিছকই পারিবারিক ঘটনা। এর পিছনে অন্য ব্যাপার নেই।”
ওই তৃণমূল কাউন্সিলর জানান, তাঁর খুড়তুতো বোনকে উত্ত্যক্ত করার কথা শুনে তিনি দু’পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় মিটমাটের চেষ্টা করেন। সজলবাবু বলেন, “আমার কাকা সিপিএম করেন। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই ঘটনা বিকৃত করে প্রচার শুরু করেছেন।” |
|
|
|
|
|