|
|
|
|
গণপ্রহারে উস্থিতে মৃত ২, জখম ১ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • উস্থি |
গণপ্রহারে মৃত্যু হয়েছে দুই ব্যক্তির। জখম হয়েছেন একজন। আইনাল গাজি নমে ওই ব্যক্তিকে ডায়মন্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার উস্থি থানার উত্তরকুসুম গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত দু’জনের নাম টমটম হালদার (৫২) ও মোজাফ্ফর হালদার (৫০)। বাড়ি ওই এলাকাতেই। পুলিশ জানিয়েছে, টমটম ও মোজাফ্ফরের বিরুদ্ধে থানায় দুষ্কর্মের অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, শনিবার সকালে উত্তরকুসুম গ্রামে খাল থেকে আব্দুল হক হালদার (৪৫) নামে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। টমটম, মোজাফ্ফর ও আইনাল তাঁকে খুন করেছে এই অভিযোগে রবিবার তাদের মারধর করে গ্রামবাসীরা। মারের চোটে ঘটনাস্থলেই মারা যায় টমটম ও মোজাফ্ফর। গুরুতর আহত আইনালকে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আব্দুলের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর পরিবারের তরফে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হলেও সেখানে টমটম, মোজাফ্ফর বা আইনালের নাম নেই বলে পুলিশ জানিয়েছে। আব্দুলের ভাই এমাদুল হকের দাবি, “কে বা কারা ওই দু’জনকে কেন পিটিয়ে মেরেছে তা আমরা জনি না।” গ্রামের লোকজনও এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে মুখ বলতে চায়নি।
তবে মোজাফ্ফরের স্ত্রী রহিমা বিবি বলেন, “আমরা এ দিন সকালে ওই গ্রামে স্বামী-স্ত্রী মিলে জ্বালানির জন্য গাছ কাটতে গিয়েছিলাম। সেই সময় শ’খানেক লোক আমার স্বামীকে ঘিরে ধরে তাঁকে অন্য জায়গায় টেনে নিয়ে যায়। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও খুন করার হুমকি দেয়। ভয়ে বাড়ি চলে যাই। ওরা বলছিল আব্দুলের খুনের ঘটনায় আমার স্বামী জড়িত।”
এ ব্যাপারে পুলিশকে কেন জানাননি জানতে চাওয়া হলে তিনি রহিমা বিবি বলেন, “ওরা আমাকে বাড়ি থেকে বেরোতেও নিষেধ করে দেয়। ভয়ে তাই পুলিশের কাছে যেতে পারিনি।”
জেলার পুলিশ সুপার প্রবীণ ত্রিপাঠি বলেন, “আব্দুলের পরিবারের তরফে একটি খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে টমটম ও মোজাফ্ফরকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। আব্দুলের ঘটনার সঙ্গে এই ঘটনার কোনও যোগ আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।” |
|
|
|
|
|