|
|
|
|
যুবকের চেষ্টায় গ্রেফতার দুই শিশুপাচারকারী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
যুবকের উপস্থিত বুদ্ধিতে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল বসিরহাট থানার পুলিশ। ধৃতদের বিরুদ্ধে এক ছাত্র-সহ চার বালককে পাচারের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিখোঁজ অসিত মিস্ত্রি, সাগর দাস, বিজয় দে ও সুদেব দাসের বাড়ি বারাসতের কয়ড়া কদম্বগাছির হেমন্ত কলোনিতে। সকলেরও বয়স ১২ থেকে ১৬-র মধ্যে। বসিরহাট থানার আইসি শুভাশিস বণিক বলেন, “বসিরহাটের পশ্চিম দণ্ডিরহাট এলাকার বাসিন্দা বাপি মণ্ডল এবং তরুণ মণ্ডলকে শিশু পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপহৃত বালকদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।”
পুলিশ সূত্রের খবর ওই এলাকারই বাসিন্দা বছর বারোর সুশান্ত মণ্ডল গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর নিখোঁজ হয়। পরিবারের লোকজন অনেক খুঁজেও তার সন্ধান পাননি। সেই সময় তাঁরা জানতে পারেন শুধু সুশান্তই নয়, এলাকার আরও জনাচারেক বালকের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই দিন গভীর রাতে অবশখ্য বাড়ি ফেরে সুশান্ত। শিয়ালদহগামী ট্রেনে তাকে দেখে তারই এক আত্মীয় তাকে বাড়িত ফিরিয়ে আনেন। সুশান্তর মুখ থকেই শোনা যায়, বসিরহাটের জনাকয়েক যুবক তাদের বিয়েবাড়িতে কেটারিংয়ের কাজের লোভ দেখিয়ে দমদম ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাচ্ছিল। তার কাছ থেকেই দুষ্কৃতীদের একজনের ফোন নম্বর পাওয়া যায়। ওই যুবকদের ধরতে ফোন নম্বরের সূত্রে ধরে ফাঁদ পাতেন সুশান্তর বন্ধু রবিন পাল। তাঁর কথামত সুশান্ত ওই যুবকদের ফোন করে বলে যে সে ও তার এক সঙ্গী কাজে যেতে চায়। সঙ্গীকে নিয়ে সুশান্তকে তারা শনিবার বসিরহাট স্টেশনে আসতে বলে। সেইমত ওইদিন সকালে এলাকার লোকজন নিয়ে সুশান্ত ও রবিন বসিরহাট স্টেশনে অপেক্ষা করছিল। পুলিশ জানায়, বাপি ও তার সঙ্গী তরুণ ওই দিন বসিরহাট স্টেশনে এলে সুশান্ত ও রবিন চিৎকার শুরু করে। চিৎকার শুনে লোকজন এসে ওই যুবকদের ধরে ফেলে। শুরু হয় গণপ্রহার। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের গ্রেফতার করে।
সুশান্তর আত্নীয় বিক্রম দেবনাথ বলেন, “নিখোঁজ হওয়ার পরে শুনেছিলাম পাচারকারীরা ওদের ওড়িশায় নিয়ে যাচ্ছে। এখন শুনছি হাসনাবাদের কোথাও তাদের আটকে রাখা হয়েছে। সমস্ত ঘটনা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। |
|
|
|
|
|