গার্ডেনরিচ কাণ্ডে ধৃত কংগ্রেস নেতা মোক্তার আহমেদের জামিন মঞ্জুর করল আলিপুর জেলা দায়রা আদালত। বৃহস্পতিবার বিচারক শ্যামসুন্দর চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে জামিন মঞ্জুর হয়। এ দিন মোক্তার আহমেদ-সহ সাত জনের জামিন মঞ্জুর হয়েছে বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি হাওড়া স্টেশন থেকে মোক্তারকে গ্রেফতার করে সিআইডি। ১০১ দিন পরে জামিন পেলেন তিনি।
১২ ফেব্রুয়ারি গার্ডেনরিচে হরিমোহন ঘোষ কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র তোলা নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূলের সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় তাপস চৌধুরী নামে এক পুলিশকর্মী খুন হন। ওই ঘটনায় পুলিশ দু’টি মামলা দায়ের করে।
তৃণমূল কাউন্সিলর মুন্না অবশ্য মায়ের অসুস্থতার কারণে আগেই জামিন পেয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মোক্তারের জামিনে কোনও শর্ত আরোপ করেননি বিচারক। তবে সপ্তাহে দু’দিন তাঁকে স্থানীয় থানায় হাজিরা দিতে হবে।
এ দিন মোক্তারের আইনজীবী চন্দ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও তুলসী মুখোপাধ্যায় বলেন, “১২ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে বারোটার মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। অথচ মোক্তার ওই কলেজ থেকে বেরিয়েছিলেন সাড়ে বারোটার পরে।” তাঁদের বক্তব্য, চার্জশিট পেশের পরে জামিন পেয়েছেন মুন্না। মোক্তার ও মুন্নার আইনগত অবস্থান একই। জামিনের বিরোধিতা করে সরকারি আইনজীবী তীর্থঙ্কর রায় বলেন,“সাক্ষীদের ভয় দেখিয়ে মামলা প্রভাবিত করতে পারেন মোক্তার।”
জামিন পেয়ে আদালতের লকআপ থেকে সংশোধনাগারের গাড়িতে ওঠার সময় মোক্তার বলেন, “বিচার ব্যবস্থার উপরে আমার সম্পূর্ণ আস্থা আছে। সঠিক বিচারই পেয়েছি।” তবে মোক্তারের জামিনের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন মুন্না। |