বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গড়া সত্ত্বেও সারদা গোষ্ঠীর কেলেঙ্কারির তদন্তে সমন্বয় নেই বলে বিভিন্ন স্তরেই অভিযোগ উঠেছে। এ বার খোদ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অভিযোগ করল, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট সারদা কাণ্ডের এফআইআর এবং কেস ডায়েরি তাদের দেখায়নি।
ইডি বুধবার সরাসরি এই অভিযোগ করেছে কলকাতা হাইকোর্টে। এ দিন ইডি-র তরফে বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদালতে বলা হয়, পুলিশ তাদের কিছু তথ্যের প্রতিলিপি দিয়েছে মাত্র। বিচারপতি ইডি-কে তাদের বক্তব্য জানিয়ে আবেদন জমা দিতে বলেন।
সারদা কাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব সিবিআই-কে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থে দায়ের করা মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এ দিন আদালতে বলেন, এই প্রতারণা চক্র পূর্র্বাঞ্চল-সহ প্রায় গোটা দেশ জুড়েই কাজ করেছে। অসংখ্য আমানতকারীর সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। তছরুপ হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। টাকা ফেরত না-পেয়ে আত্মহত্যার মিছিল চলছে। এই অবস্থায় রাজ্যের কোনও সংস্থা এই কেলেঙ্কারির তদন্ত করার যোগ্য নয়। কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থাই এই তছরুপের তদন্ত করতে পারে বলে সুব্রতবাবু আদালতে জানান। আজ, বৃহস্পতিবার মামলাটির ফের শুনানি হবে। এ দিন বিধাননগর আদালতে দু’টি মামলায় সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন এবং সংস্থার অন্য দুই ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা, ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক অভিযোগে চার্জশিট পেশ করেছে বিধাননগর কমিশনারেট। সুদীপ্ত গ্রেফতার হওয়ার ৪২ দিনের মধ্যে চার্জশিট দাখিল করা হল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিধাননগর এসিজেএম আদালতে এ দিন সারদা সংক্রান্ত সাতটি মামলার শুনানি হয়। সারদা গোষ্ঠীর দু’টি সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা সল্টলেক ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় সুদীপ্তের বিরুদ্ধে বেতন না-দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। ওই দু’টি মামলায় এ দিন চার্জশিট পেশ করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রের খবর।
চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, ষড়যন্ত্র করে অসংখ্য আমানতকারীর সঙ্গে সঙ্গে দু’টি সংবাদমাধ্যমের কর্মীদেরও প্রতারণা করা হয়েছে এবং এই ব্যাপারে সারদাকর্তাদের বিরুদ্ধে কিছু তথ্যপ্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। ওই প্রতারণার ঘটনায় সারদার দুই ডিরেক্টর দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও মনোজ নাগেলেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে তদন্তকারী অফিসারেরা চার্জশিটে জানিয়েছেন।
|