ধীরে হলেও ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিল শিল্প। ফেব্রুয়ারির ০.৬ শতাংশের পর এ বার মার্চে দেশের শিল্পোৎপাদন বাড়ল ২.৫%। বিশেষজ্ঞদের মতে, এর ফলে গত অর্থবর্ষে শিল্প সূচকের বৃদ্ধি (১%) দু’দশকের মধ্যে সব থেকে নীচে দৌড় শেষ করল ঠিকই, কিন্তু তেমনই নিয়ে এল আশার আলোও। কারণ এই ধারা বজায় থাকলে, চলতি অর্থবর্ষে জাতীয় আয়ের বৃদ্ধি ৬% ছুঁয়ে ফেলবে বলে মনে করছেন তাঁরা। যে বিশ্বাসে ভর করে শুক্রবার ২০ হাজার পেরিয়েছে সেনসেক্সও।
অবশ্য বৃদ্ধির এই পরিসংখ্যান পুরোপুরি খুশি করতে পারেনি শিল্পমহলকে। তাদের মতে, এই হার হয়তো মন্দের ভাল। কিন্তু উৎপাদন শিল্পের একটা বড় অংশে এখনও মন্দার ছাপ স্পষ্ট। সরাসরি উৎপাদন কমেছে খনন শিল্পেও। তাই এই পরিস্থিতিতে শিল্পকে পুরোদস্তুর চাঙ্গা করতে ফের সেই সুদ কমানোর পক্ষেই সওয়াল করেছে তারা। শিল্পমহলের দাবি, বাড়ি, গাড়ি-সহ বিভিন্ন জিনিসের চাহিদা বাড়াতে সামনের ঋণনীতিতে আরও এক বার সুদ কমানোর পথে হাঁটুক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
তবে শিল্প সূচকের উত্থানে এ দিন বেশ খুশিই দেখিয়েছে শেয়ার বাজারকে। ফেব্রুয়ারিতে যেখানে শিল্প সূচক মাত্র ০.৬% উঠেছিল, সেখানে মার্চে তা বেড়েছে ২.৫%। ২০১২ সালের নভেম্বরের পর সব থেকে বেশি। আগের বছরের মার্চের (২.৫% সঙ্কোচন) থেকে আক্ষরিক অর্থেই ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে তার অভিমুখ। তাই বাজারের আশা, এই উত্থানের প্রবণতা জারি থাকলে বৃদ্ধি ঢুকে পড়বে ৬ শতাংশের ঘরে। এ নিয়ে এ দিন আত্মবিশ্বাসী শুনিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের গলাও। আর এই আশাই এ দিন প্রায় ১৪৪ পয়েন্ট ঠেলে তুলেছে শেয়ার বাজারকে। দিনের শেষে সেনসেক্স থেকে গিয়েছে ২০ হাজারের উপরেই (২০০৮২.৬২)। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, সূচকের উত্থানে ইন্ধন জুগিয়েছে বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন দেশে নগদের বাড়তি জোগানও।
|