চাঙ্গা বাজারে লগ্নিকারীদের প্রত্যাশা মতোই বুধবার ২০ হাজার ছুঁয়ে ফেলল সেনসেক্স। গত তিন মাসে এই প্রথম।
তবে লেনদেনের একেবারে শেষের দিকে ২০ হাজার স্পর্শ করায় উত্থান ধরে রাখতে পারেনি বাজার। সামান্য কমে লেনদেন বন্ধের ঘণ্টা পড়ার সময়ে তা দাঁড়ায় ১৯,৯৯০.১৮ অঙ্কে। সারা দিনে সেনসেক্স বেড়েছে ১০১.২৩। তবে ৩০ জানুয়ারির পর থেকে সূচক এতটা উচ্চতায় পৌঁছয়নি বলেই তা বুল-দের আধিপত্য বাড়িয়ে বাজারকে আরও উৎসাহ জোগাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের ধারণা, ভারতে কিছুটা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও সেনসেক্সের এই উত্থান বুঝিয়ে দিচ্ছে, শেয়ার বাজারের ভিত কতটা জোরালো।
বিশেষত বুধবার আচমকাই সংসদের বাজেট অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি ঘোষণা করা হয়। তার জেরে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা বিল এবং জমি অধিগ্রহণ বিল পাশ করানো যায়নি। তা সত্ত্বেও ২০ হাজারের ম্যাজিক অঙ্ক স্পর্শ করেছে সূচক। বিরোধীরা ক্রমাগত প্রধানমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করতে থাকায় পণ্ড হয় সভার কাজ। তবে তা ছাপ ফেলেনি বাজারে। বরং কর্নাটকে বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সাফল্য সেনসেক্সকে চাঙ্গা করে। |
সূচককে ২০ হাজারে তুলে দিয়েছে অন্য যে-সমস্ত কারণ, তার মধ্যে আছে:
• চাঙ্গা হয়ে ওঠা বিশ্ব বাজার • চিনে এপ্রিলে বৈদেশিক বাণিজ্যের অপ্রত্যাশিত বৃদ্ধি • এইচডিএফসি, আইটিসি শেয়ারের দর বাড়ার প্রভাব • বিদেশি আর্থিক সংস্থাগুলির ভারতের বাজারে আগ্রহ।
ইউরোপ-আমেরিকার বাজার গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাঙ্গা হয়ে ওঠার খবর মঙ্গলবারই ভারতীয় বাজারে ভাল রকম প্রভাব ফেলে। বুধবার বিশ্ব বাজার একই রকম চাঙ্গা তো ছিলই, সঙ্গে যোগ হয় চিনের বৈদেশিক বাণিজ্য এক লাফে এপ্রিলে ১৫.৭% বেড়ে যাওয়ার খবর। মার্চে তা বেড়েছিল ১২.১%। এর মধ্যে রফতানি ১৪.৭% বেড়ে ছুঁয়েছে ১.১৭ লক্ষ কোটি ইউয়ান। আমদানি ১৬.৮% বেড়ে হয়েছে ১.০৬ লক্ষ কোটি ইউয়ান। বৈদেশিক বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত ১১,৪৫৩ কোটি ইউয়ান বা ১৮১৬ কোটি ডলার (৯৯,৮৮০ কোটি টাকা)। এর থেকেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চিনের ওপর থেকে সরে যাচ্ছে মন্দার মেঘ।
গত অর্থবর্ষের চতুর্থ ত্রৈমাসিকে এইচডিএফসি-র নিট মুনাফা ১৭% বেড়ে ২০৮৩ কোটি টাকা ছোঁয়ার খবরে সংস্থার শেয়ার দর বাড়ে ৩.৮%। উত্তরপ্রদেশে সিগারেটে যুক্তমূল্য কর কমায় আইটিসি-র দর বেড়েছে ২.২%।
|