টুকরো খবর |
ছাত্র-মৃত্যুর তদন্ত দাবি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
সিউড়িতে মৃত ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া স্মরজিৎ বসুকে শেষ বিদায় জানাল তাঁর আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। বুধবার দুপুরে ওই ছাত্রের দেহ নিয়ে সিউড়ি থেকে পরিবারের লোক কোচবিহারের পাটাকুড়া এলাকার বাড়িতে পৌঁছান। দেহটি পৌঁছাতেই এলাকায় কান্নার রোল পড়ে যায়। ছেলের অকালমৃত্যুতে চন্দ্রনাথ বসুও বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। মা ইতিদেবীও অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন। স্মরজিতের কাকা বিশ্বজিৎ বসু বলেন, “খুব ভাল ছিল ভাইপো। ওঁকে সবাই ভীষণ ভালবাসত। ওঁর চলে যাওয়াটা কেউ মেনে নিতে পারছেন না।” গত সোমবার সিউড়ি বিই কলেজের ছাত্র স্মরজিৎ বন্ধুদের সঙ্গে স্নান করতে তিলপাড়া পঞ্চায়েতের পাতরা পুকুরে যান। বন্ধুরা স্নান সেরে ফিরে এলেও স্মরজিৎ আসেননি। পরে দমকল কর্মীরা পুকুর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে। মঙ্গলবার সিউড়ি সদর থানায় মৃতের ৫ জন বন্ধুর নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের কাকা বিশ্বজিৎবাবু। তিনি বলেন, “কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাইছে। সিউড়ি থানার আইসি ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পেয়েই তাতে কিছু নেই বলে মন্তব্য করেন। অভিযোগ দিয়ে কিছু হবে নাও বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছি। আমাদের মনে হচ্ছে, পরিকল্পিত ভাবে ভাইপোকে খুন করা হয়েছে।” সরব পড়শিরা। পাটাকুড়ার গৌরাঙ্গ সরকার বলেন, “ওঁকে খুন করা হয়েছে বলে আমাদেরও ধারণা।” সিপিএম নেতা পার্থপ্রতিম সেনগুপ্ত, তৃণমূল নেতা ভূষণ সিংহ স্মরজিতের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে সমবেদনা জানিয়ে আসেন। জেলা পুলিশ সুপার অনুপ জয়সওয়াল এই দিন বলেছেন, “মৃতের পরিবারের লোকজন চাইলে প্রয়োজনীয় সাহায্য করা হবে।”
|
পুরনো খবর: ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের মৃত্যু দুর্ঘটনা নয়, দাবি
|
পরিবর্ত না দিয়ে বদলির নির্দেশ, পথে বাসিন্দারা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেখলিগঞ্জ |
পরির্বত চিকিৎসক না দিয়ে মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে বদলির নির্দেশ দেওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামলেন এলাকার বাসিন্দারা। বুধবার নির্দেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বাসিন্দারা সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুই ঘন্টা মেখলিগঞ্জ-চ্যাংরাবান্ধা রাস্তা অবরোধ করেন। ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতা কর্মীরাও তাতে সামিল হন। কংগ্রেস হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত সুপারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ স্থানীয় স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের কর্তারা নির্দেশ স্থগিত রাখার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। মেখলিগঞ্জের মহকুমাশাসক জ্যোর্তিময় তাঁতি বলেন, “জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। আপাতত চিকিৎসককে বদলি করা হবে না।” হাসপাতালের পরিকাঠামোর ঘাটতি রয়েছে। ২৯ জন চিকিৎসকের অনুমোদিত পদের ১৫টি ফাঁকা পড়ে। স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ আছেন মাত্র ২ জন। শল্য ও দাঁতের চিকিৎসক ১ জন। মঙ্গলবার পরিবর্ত চিকিৎসক না দিয়ে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ শম্পা রায়কে শীতলখুচি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বদলির নির্দেশ জারি করেন কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। বুধবার বিষয়টি জানাজানি হতেই চ্যাংরাবান্ধা-মেখলিগঞ্জ যাতায়াতের রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন। মেখলিগঞ্জ মহকুমা কংগ্রেস সভাপতি মায়াশংকর সিংহ এই দিন বলেন, “হাসপাতালের পরিকাঠামো ঠিকঠাক না হলে আমরা বড় মাপের আন্দোলন করব।”
|
বৃন্দাবনে আবাস চালাবে কোচবিহার দেবত্র ট্রাস্ট
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
বাসিন্দাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনে কোচবিহার আবাস চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে দেবোত্তর ট্রাষ্ট বোর্ড। মঙ্গলবার কোচবিহারে বোর্ডের সভায় আগামী জুন মাসে ওই আবাস চালুর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। বোর্ড সূত্রে জানা গিয়েছে, এরজন্য বৃন্দাবন ধাম মন্দির চত্বর এলাকায় একটি পুরানো ভবন সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। নতুন করে ঝা চকচকে স্নানঘর, শৌচালয় তৈরির কাজও করা হয়েছে। থাকার ঘরে খাট ও আলমারি টেবিলের মত কিছু আববাব কেনার জন্যও প্রাথমিক ভাবে ১ লক্ষ টাকা অনুমোদন করা হয়। বাঁদরের উৎপাত ঠেকাতে ভবন লাগোয়া ফাঁকা জমিতে তারজালির ঘেরাটোপ বসানো হয়েছে। আপাতত সেখানে ১৫টি শয্যা চালু করা হচ্ছে। পরে তা বাড়িয়ে ৩১টি করা হবে। ট্রাস্ট বোর্ডের সভাপতি তথা কোচবিহারের জেলাশাসক মোহন গাঁধী বলেন, “প্রচুর মানুষ বৃন্দাবন বেড়াতে যান। তাঁদের কম খরচে থাকার কথা মাথায় রেখেই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি চলছে।” কোচবিহারের রাজাদের উদ্যোগে তৈরি বৃন্দাবন ধাম মন্দিরের টান জেলার বাসিন্দারা এড়াতে পারেন না। ওই মন্দির চত্বরে পর্যাপ্ত ঘর ও জমি থাকলেও সেখানে রাত্রিবাসের ব্যবস্থা না থাকায় অনেকেই ক্ষোভের কথাও দেবোত্তর কর্তাদের জানান। গত মাসে জেলাশাসক তথা বোর্ডের সভাপতি মোহন গাঁধীর নির্দেশে পরিস্থিতি ঘুরে দেখে আসেন বোর্ডের সদস্য তথা মহকুমাশাসক (সদর) বিকাশ সাহা-সহ একটি প্রতিনিধি দল।
|
মহকুমা জুড়েই অপরাধ বাড়ছে
নিজস্ব সংবাদদাতা • ইসলামপুর |
ইসলামপুর মহকুমা জুড়ে একের পর এক ডাকাতি, ছিনতাইয়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এ জন্য পুলিশি নজরদারির অভাবকে দায়ী করে তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের তৎপরতার অভাব ছাড়াও নজরদারি এবং টহলদারি না থাকায় একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ইসলামপুর মহকুমায় গত দুই মাসে ৮টি ডাকাতি ও ছিনতাই এর ঘটনা ঘটেছে। পরপর ঘটনায় উদ্বিগ্ন জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, “ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনা শুনেছি। পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।” পুলিশ সূত্রের খবর, গত ফেব্রুয়ারি থেকে চলতি মাস অবধি ইসলামপুর মহকুমায় ৬টি ডাকাতি ও ২টি ছিনতাই-র ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি চোপড়ার কালাগছ এলাকার এক মুদির দোকানের ব্যবসায়ীর ৫ লক্ষ টাকা ছিনতাই হয়। মঙ্গলবার রাতেও চোপড়া তিন মাইলে সুকুমার বিশ্বাস নামের এক ব্যবসায়ীর সোনার দোকান থেকে ২ লক্ষ টাকার গয়নার ডাকাতি হয়। পালানোর সময় দুষ্কৃতীরা বোমাও ছোঁড়ে। পুলিশ দেরিতে পৌঁছানোয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। গোয়ালপোখরে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এলাকার মজলিশপুরের একটি ব্যাঙ্কে ডাকাতির চেষ্টা চালায় দুষ্কৃতীরা। পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াই হয়। তার পরেও পুলিশ কাউকে ধরতে পারেনি। ব্যবসায়ীরা জানান, এলাকার পরিস্থিতি ভাল নয়। ইসলামপুর মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক সুদেব নন্দী বলেছেন, “আমরা আতঙ্কিত। পুলিশ সক্রিয় না হলে পরিস্থিতি ভয়ানক হয়ে দাঁড়াবে।” ইসলামপুরের এসডিপিও সুবিমল পাল বলেন, “কয়েকটি দলকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তার কয়েক জন দুষ্কৃতী ধরাও পড়েছে। বাকিদের খোঁজ হচ্ছে। প্রতিটি ঘটনার তদন্ত হচ্ছে।”
|
ধৃত জাল নোট-সহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
এক পাচারকারী-সহ মালদহ পুলিশ পাঁচ লক্ষ টাকার জালনোট উদ্ধার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম নাম সামিফল শেখ। বাড়ি কালিয়াচকের মোল্লাপাড়ায়। বুধবার ইংরেজবাজার থানার মধুঘাট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে তোলা হবে।” উত্তরপ্রদেশে আলিগড়ে ওই জালনোট সরবরাহ করতে ধৃত দিল্লিগামী ট্রেন ধরতে মালদহ টাউন স্টেশনে আসছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ধৃতের হেফাজত থেকে জাল পাঁচশ টাকার তিন লক্ষ ও এক হাজার টাকার জাল ২ লক্ষ টাকা মিলেছে। এ বছরে এ পর্যন্ত পুলিশ মালদহে ৪৪ লক্ষ ৬৪৪৫০ টাকার জাল নোট উদ্ধার করেছে। ধরা হয়েছে ৩৮ জনকে।
|
সহকর্মীকে মারধর করে শিক্ষক ধৃত বালুরঘাটে
নিজস্ব সংবাদদাতা • বালুরঘাট |
পুরনো বিবাদ ছিল। তার উপরে স্কুলে ধুমপান করতে দেখে সহশিক্ষককে মারধর করে গ্রেফতার হলেন এক শিক্ষক। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাউল পরমেশ্বর হাই স্কুলে। প্রহৃত শিক্ষক বিমল দত্তের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত সুশীল মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। সুশীলবাবু বলেন, “সহকারী প্রধান শিক্ষকের ঘরের পাশ দিয়ে যেতে গিয়ে দেখি বিমলবাবু সিগারেট খাচ্ছেন। রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।” পতিরাম ফাঁড়ির ওসি কৃষ্ণ বেরা বলেন, “পুরনো বিবাদে জেরে ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গিয়েছে। সুশীলবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” সহকারী প্রধান শিক্ষক পীযূষ চক্রবর্তী বলেন, “সুশীলবাবু হঠাৎ বিমলবাবুকে মারধর করলে অন্যরা তাঁকে উদ্ধার করেন।”
|
তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা অভিযোগকে ঘিরে ইংরেজবাজার থানার খাসকোল এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ছাত্রীকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযুক্ত অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। মঙ্গলবার বিকালে ঘটনাটি ঘটেছে। জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরতে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বিকালে ওই ছাত্রী বাড়ির পাশে আমবাগানে একাই আম কুড়াতে গিয়েছিল। সেই সময় কৃষ্ণ ঘোষ নামের ওই ছাত্র তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
|
ধৃত তিন |
গরু পাচারের জন্য সীমান্ত টপকে এ পারে আশ্রয় নেওয়া দুই বাংলাদেশি-সহ বাড়ির মালিককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বুধবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি থানার ফেরুসা এলাকার ঘটনা। ওই বাড়ি থেকে পুলিশ ৫টি গরু আটক করেছে। হিলির ওসি সন্দীপ সুব্বা জানান, ধৃত দুই বাংলাদেশির নাম মইদুল মন্ডল এবং মাসুদ রানা। ধৃত বাড়ির মালিকের নাম কৃষ্ণ সিংহ।
|
স্মরণ |
|
—নিজস্ব চিত্র |
মাছ ব্যবসায়ী নিহত পরিতোষ দের স্মরণে বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরে বালুরঘাটে সকাল থেকে ব্যবসায়ীরা দোকান ও বাজার বন্ধ রেখে তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী পালন করেন। তোলাবাজির প্রতিবাদ করায় ২০১০ সালের ৮মে বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার পথে সাধনা মোড় এলাকায় দুষ্কৃতীরা তাঁকে কুপিয়ে ও গুলিতে খুন করে। অভিযুক্ত ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। |
|