টুকরো খবর |
পুলিশ নিয়ে বাড়ি দখল
নিজস্ব সংবাদদাতা |
পুরসভার একটি বাড়ি দখল করে রাখার অভিযোগে সিপিএমের প্রাক্তন কাউন্সিলর সলিল চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আগেই এফআইআর করেছিল পুর-প্রশাসন। সোমবার পুলিশ নিয়ে ওই বাড়িটি নিজেদের হেফাজতে নিলেন পুর-কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্রের খবর, বাম আমলে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১/১/২ বিদ্যাসাগর স্ট্রিটে তিনতলা বাড়িটি চুক্তির ভিত্তিতে লিজ নেয় ‘বঙ্গীয় ব্যায়াম সমিতি’। ১৯৯৪ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও তা দখলে রাখে ওই ওয়ার্ডের সিপিএম নেতৃত্ব। পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক জানান, ওখানে ১১ কাঠা জমির উপরে একটি তিনতলা বাড়ি ও ফাঁকা মাঠ ছিল। দীর্ঘ কাল ধরে তা দখলে রেখে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করেন ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সলিলবাবু। বারবার বলা সত্ত্বেও জায়গাটা আটকে রাখেন। তাই পুলিশের সাহায্য নিয়ে দখলদারদের সরিয়ে দেওয়া হয়। ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর সলিলবাবু বলেন, “পুর-প্রশাসন অগণতান্ত্রিক ভাবে একাধিক সমাজসেবী সংস্থাকে হটিয়ে দিল। সেখানে ক্রিকেট প্রশিক্ষণ শিবিরে শ’দেড়েক ছেলে খেলা শিখত। চলত ব্যায়াম শেখানো। সবই বন্ধ হল।” তিনি জানান, জায়গাটি পড়েই ছিল। গত ২২ বছর সিপিএমের সাংসদ, বিধায়কদের তহবিলের টাকায় ক্রীড়া ও সংস্কৃতি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়। প্রতিবাদে শীঘ্রই তাঁরা আন্দোলনে নামবেন বলে জানান সলিলবাবু।
|
পুরনো খবর: পুর-সম্পত্তি দখলের অভিযোগ
|
নমুনা পেল ফরেন্সিক |
অবশেষে জমা পড়ল প্রেসিডেন্সি কাণ্ডের ভাঙা তালা, কাচের টুকরো। সোমবার সকালে কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে সেগুলি ফরেন্সিক ল্যাবরেটরি-কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়। জরুরি ভিত্তিতে সেগুলি পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন ফরেন্সিক কর্তারা। তবে বর্শা ও লোহার শিকল দেওয়া হয়নি। তালা ও কাচ পরীক্ষা করে দেখা হবে প্রেসিডেন্সির ঘটনার পিছনে অন্তর্ঘাত আছে কিনা। বিশেষজ্ঞেরা মূলত দেখবেন তালাটি কলেজের ভিতর থেকে ভাঙা হয়েছিল, না কি গেটের বাইরে থেকে। একই ভাবে পরীক্ষা হবে কাচগুলিও। ১০ মার্চ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ১৯ মার্চ পুলিশের পক্ষ থেকে ডাকা হয় ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের। সে দিনই তাঁরা নমুনা হিসেবে মূল ফটকের ভাঙা তালা ও ল্যাবরেটরির ভাঙা কাচ-সহ প্রয়োজনীয় জিনিস পাঠাতে বলেন। অবশেষে সেগুলি ৬ মে জমা দেওয়া হল।
|
পুরনো খবর: প্রেসিডেন্সিতে ফরেন্সিক তলব, বিলম্ব ঘিরে প্রশ্নও
|
গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে জেল হাজত |
গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে অভিযুক্ত মহম্মদ রিয়াজ ওরফে কাল্লু-সহ সাত জনকে সোমবার জেল হাজত থেকে আলিপুরে মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করানো হল। জামিনের আবেদন অগ্রাহ্য করে ২০ মে পর্যন্ত তাদের জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। গত ১২ ফেব্রুয়ারি গার্ডেনরিচে এক কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের নির্বাচন ঘিরে গোলমালের ঘটনায় কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা মহম্মদ মোক্তার, তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্না-সহ মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা, সশস্ত্র হাঙ্গামা ইত্যাদির অভিযোগ আনা হয়। তারা সকলেই জেল হাজতে রয়েছে। এদের মধ্যে ৯ জন অভিযুক্তের আইনজীবী না থাকায় সরকারের তরফে তাদের হয়ে মামলা লড়ছেন বিকাশ গুছাইত নামে এক আইনজীবী।
|
অঙ্কুর অপহরণে ধৃত আরও ১ |
ধর্মতলার রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীর ছেলে অঙ্কুর সাউকে অপহরণ ও তাঁর গাড়ির চালক জিতেন্দ্র সাউকে খুনের অভিযোগে আরও এক জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা। শনিবার রাতে গিরিডির রাজধানওয়ার থানার গুন্ডারি গ্রাম থেকে কামেশ্বর পণ্ডিত নামে ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়। সোমবার ধৃতকে আলিপুর আদালত তাকে ১৭ মে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত দেয়। এই ঘটনায় উলুবেড়িয়া থেকে দিলীপ শর্মা নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। তবে প্রধান সন্দেহভাজন টিঙ্কু নামে এক যুবক এখনও পলাতক বলে জানায় পুলিশ।
|
পুরনো খবর: গাড়ি-সহ ‘নিখোঁজ’ ব্যবসায়ী-পুত্র, ফোন এল ৬ কোটি চেয়ে
|
প্রৌঢ়াকে ছুরি মেরে চম্পট |
এক প্রৌঢ়াকে ছুরি দিয়ে জখম করে চম্পট দিল পরিচারক। সোমবার ঘটনাটি ঘটে বিধাননগরের বিএল ব্লকের একটি বাড়িতে। ওই প্রৌঢ়াকে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, এ দিন দুপুরে বাড়ির একতলায় বসেছিলেন ওই প্রৌঢ়া। দোতলায় ছিলেন তাঁর আত্মীয়েরা। বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ আচমকা ওই প্রৌঢ়ার চিৎকার শুনে নেমে আসেন আত্মীয়েরা। দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় বসে আছেন ওই প্রৌঢ়া। আত্মীয়েরাই পুলিশকে জানান, তাঁদের বাড়িতে পরিচারকের কাজ করত মুকেশ যাদব নামে ১৬ বছরের এক কিশোর। বাড়ি বিহারে। এ দিন দুপুরে সে প্রথমে মোবাইল চার্জারের তার ওই প্রৌঢ়ার গলায় জড়িয়ে টানতে থাকে। তখনই চিৎকার করে ওঠেন তিনি। বিপদ বুঝে হাতে থাকা ছুরি দিয়ে তাঁর বাঁ হাতে আঘাত করে পালায় ওই পরিচারক। ঘটনাস্থলে যায় বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিশ। মুকেশের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। কেন সে এমন করল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
|
প্রতিবাদী বৃদ্ধের পা পিষে দিল বাস |
বাসে স্ত্রীর জুতো খুলে যাওয়ায় বৃদ্ধ যাত্রী সেটা খুঁজছিলেন। জনা চারেক যুবক তা নিয়ে টিপ্পনী কাটায় বৃদ্ধ প্রতিবাদ করেন। নামার সময় তাঁর কলার টেনে ধরে এক যুবক, সঙ্গে গালিগালাজ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে পা ফস্কে পড়ে যান বৃদ্ধ। চালক তাঁর পায়ের উপর দিয়ে বাস চালিয়ে দেয়। প্রথমে ওই বৃদ্ধকে বেলুড়ের শ্রমজীবী হাসপাতালে, পরে বাইপাসের ধারে একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সোমবার সন্ধ্যায় বালির এই ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে আটক করেছে। দু’জন পলাতক। পুলিশ জানায়, ওই বৃদ্ধের নাম সুখেশ গুহ।
|
সেবি-র বিরুদ্ধে শুনানি পিছোল |
সেবি-র নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিল অর্থ লগ্নি সংস্থা সুমঙ্গল। সেই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার সোমবার আবেদন জানাল তারাই। আদালত ওই সংস্থার আর্জি মঞ্জুর করেছে। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে এ দিন ওই মামলার শুনানির ছিল। কিন্তু সুমঙ্গলের তরফে এত দিন যাঁরা সওয়াল করে এসেছেন, এ দিন শুনানির সময় সেই সিনিয়র আইনজীবীদের কাউকেই দেখা যায়নি। ওই অর্থ লগ্নি সংস্থার পক্ষে এক তরুণ আইনজীবী শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান। সেই আবেদন মেনে হাইকোর্ট জানিয়ে দেয়, গ্রীষ্মাবকাশের পরে শুনানি হবে। সেবি-র তরফে অবশ্য মামলা লড়ার জন্য এ দিন সব সিনিয়র আইনজীবীই এজলাসে উপস্থিত ছিলেন। |
|