সল্টলেকে সুইমিং পুল প্রকল্পের ‘তড়িঘড়ি’ শিলান্যাস হলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠল খোদ প্রশাসনিক মহলেই। কেননা ইতিমধ্যেই ওই জমির মালিকানা সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বলে স্বীকার করেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। সোমবার সে সংক্রান্ত তথ্য এসে পৌঁছল সল্টলেক পুরসভাতেও।
রবিবার সল্টলেকের সি জে ব্লকে ওই প্রকল্পের শিলান্যাস করা হয়। পুরসভার বিরোধী দলের কোনও কাউন্সিলর যেমন যাননি, তেমনই অনুষ্ঠানে হাজির হননি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তৃণমূলের সব্যসাচী দত্ত। সব্যসাচীবাবুর যুক্তি, “যেখানে নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী থেকে আধিকারিকেরাই যাচ্ছেন না, সেখানে যাওয়ার প্রশ্ন ওঠে না।”
রবিবারই পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, জমিটি নিয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, জমির মালিকানা দাবি করে একটি বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে তথ্যও পেশ করা হয়েছে। তা দেখে মাথায় হাত আধিকারিকদের। কেননা ইতিমধ্যেই সেই জমি বিধাননগর পুরসভাকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও সূত্রের খবর, জমির রেজিস্ট্রেশন হয়নি।
সেই সংস্থা নগরোন্নয়ন দফতরের কর্তাদের জানিয়েছে, আটের দশকে জমি পাওয়ার পর থেকে তারা সরকারের প্রাপ্য মিটিয়ে দিয়েছে। জমির রেজিস্ট্রেশনের জন্য বারবার আবেদন করলেও সরকারের তরফে কোনও সাড়া পায়নি ওই সংস্থা।
কিন্তু সেই বেসরকারি সংস্থার দেওয়া তথ্য কী ভাবে খতিয়ে দেখবে নগরোন্নয়ন দফতর, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়ে। কেননা তার জন্য ওই জমি সংক্রান্ত তথ্য থাকা প্রয়োজন। কিন্তু ওই জমি সংক্রান্ত নথি খুঁজতে আধিকারিকদের হিমসিম খেতে হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। বিভাগীয় এক পদস্থ ব্যক্তির দাবি, ই-গভর্নেন্স চালু করার সময়ে নথি ‘মিসপ্লেসড’ হয়ে থাকতে পারে। তবে নগরোন্নয়ন দফতরের এক অংশের প্রশ্ন, তথ্যই যদি থাকবে, তবে কী ভাবে পুরসভাকে জমি দেওয়া হল?
প্রশ্নের সদুত্তর অবশ্য মেলেনি। তবে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আমাদের ক্ষেত্রে ভুল হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” নগরোন্নয়ন দফতর সূত্রের খবর, জমির মালিকানা দাবি করে সংস্থাটি যে তথ্য পেশ করেছে, তা ঠিক প্রমাণিত হলে সুইমিং পুল প্রকল্পের জন্য অন্য জমি বিবেচনা করা হতে পারে।
|