|
|
|
|
হামলার প্রতিবাদে মিছিল সিপিএমের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
দলের অফিসে হামলা ও নেতাদের মারধরের প্রতিবাদে শুক্রবার বর্ধমানে মিছিল করল সিপিএম। স্টেশন চত্বর থেকে শুরু হওয়া মিছিল শেষ হল বর্ধমান টাউন হলে। মিছিলে হাঁটলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, নিরুপম সেন, মদন ঘোষ প্রমুখ। মিছিল শেষে টাউন হলে একটি জনসভাও করা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরে তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিল সিপিএম। এক তৃণমূল নেতার গাড়ি সেই ভিড় কাটিয়ে বেরনোর সময়েই মারপিট বাধে। ওই তৃণমূল নেতা সুজিত ঘোষ জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে নামাতে হল র্যাফ। |
|
তৃণমূলের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে মিছিল করল সিপিএম। হাঁটলেন
বিরোধী দল নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। বর্ধমান শহরে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
বর্ধমানের পুরপ্রধান, সিপিএমের আইনূল হক অভিযোগ করেন, রাতে দলের জোনাল অফিস ঘিরে ফেলে তৃণমূলের লোকজন। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে দুই তৃণমূল সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমল হালদার অভিযোগ করেন, “আমাদের বেশ কয়েক জন নেতা-কর্মীকে তৃণমূলের লোকজন মারধর করেছে। মোবারক বিল্ডিং, যেখানে আমাদের শহর জোনাল কমিটির অফিস সেখানকারা ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ রুখে না দাঁড়ালে আইনূল হক হয়তো প্রাণে বাঁচতেন না। বর্ধমান শহরে আমরা সচরাচর এই ধরণের অশান্তি দেখতে অভ্যস্ত নয়। খুব খারাপ নজির সৃষ্টি হচ্ছে।”
সূর্যকান্তবাবু বলেন, “শুধু বর্ধমান নয়, রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস চলছে। আমাদের হাজার হাজার মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন।”
বৃহস্পতিবার গোলমালের ঘটনার পরে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছিল, শুক্রবার বিকেলে তারাও মিছিল করবে। এ দিন অবশ্য তারা মিছিল করেনি। দলের একটি সূত্রের খবর, জখম নেতা সুজিতবাবু সুস্থ হওয়ার পরেই প্রতিবাদ মিছিল করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
|
পুরনো খবর: সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষে জখম নেতারা, প্রতিবাদ |
|
|
|
|
|