|
|
|
|
রেজিস্ট্রারের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের তিন পদাধিকারির পদ খারিজ সংক্রান্ত রেজিস্ট্রারের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল হাইকোর্ট। গত ৫ এপ্রিল রেজিস্ট্রার শ্রীপতি মুখোপাধ্যায় ওই তিন জনকে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে অন্য বিভাগে ভর্তির কারণ দেখিয়ে পদ থেকে খারিজ করেন। এই তিন জন হলেন ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্ভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সন্তু ক্ষেত্রপাল ও ক্রীড়া সম্পাদক রাকিবুল শেখ। পরে রেজিস্ট্রারের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এই তিন জন। ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টের বিচারপতি প্রসেনজিৎ মণ্ডল ওই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন এবং তিন জনকে তাঁদের পদে পুনর্বহালের নির্দেশ দেন।
এই নির্দেশের প্রতিলিপি হাতে পেয়ে রেজিস্ট্রার শ্রীপতি মুখোপাধ্যায় জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্মাবকাশের পরে, কেন ওই নির্দেশ জারি হয়েছে সে সম্পর্কে হলফনামা দিতে বলেছে হাইকোট। শুনানি হবে জুনের শেষে। তত দিন পর্যন্ত ওই তিনজনকে তাঁদের নিজ-নিজ পদে বহাল রাখতে হবে বলেছে হাইকোর্ট। তিনি আরও বলেন, “নির্দেশ পাওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের তিন দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান (৭-৯ মে) অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছি। কারণ ছাত্র সংসদের যে কার্ড ছাপানো হয়েছে, তাতে ওই তিন জনের নাম নেই। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে সোশ্যালের জন্য টাকা তোলার ক্ষেত্রেও ওই তিন জনের সই দরকার। তাই আপাতত সোশ্যাল পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া গতি নেই।” বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক সন্তু ঘোষ বলেন, “যাঁরা ছাত্রদের একটা মিলনানুষ্ঠান বানচালের জন্য হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ জারি করিয়েছেন, তাঁদের পদে থাকা দূরের কথা, সাধারণ সদস্য হবারও যোগ্যতা নেই।” এর জবাবে সাংস্কৃতিক সম্পাদক সন্তু ক্ষেত্রপাল বলেন, “রেজিস্ট্রারের অনৈতিক নির্দেশের প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা ঠিক কাজই করেছি।” ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্ভীক বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, “আমাদের পদ খারিজ করার জন্য যে ধারা উল্লেখ করা হয়েছিল, তাতে এই ধরনের কোনও কথা বলা হয়নি। এই নির্দেশ জারি করাটা অজ্ঞতা ছাড়া কিছু নয়। নভেম্বর পার্যন্ত আমাদের পদে বহাল রাখতে হবে।” |
|
|
|
|
|