|
|
|
|
সংস্থা বন্ধ, উঠল টাকা ফেরতের দাবি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
আমানত ফেরত ও সংস্থার কর্তাদের কঠোর শাস্তির দাবিতে কাটোয়ার মহকুমশাসক এবং এসডিপিও-র দ্বারস্থ হয়েছেন একটি লগ্নি সংস্থার এজেন্ট ও আমানতকারীদের একাংশ। ‘সুরাহা মাইক্রো ফিনান্স’ নামে ওই সংস্থার কাটোয়া শাখার অফিস পুজোর পর থেকে বন্ধ। মহকুমাশাসক আর অর্জুন বলেন, “পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
ওই আমানতকারী ও এজেন্টদের অভিযোগ, কাটোয়ার মাধবীতলায় ২০১০-এর ফেব্রুয়ারিতে ওই সংস্থার দফতর খোলে। এর আগে এই সংস্থাটির নাম ছিল ‘সানমার্গ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’। ওই আমানতকারী ও এজেন্টরা জানান, সংস্থার কর্তারা আমানতকারীদের ঋণ দিয়েছিলেন। তা দেখে তাঁরা আরও বেশি করে সেখানে টাকা রাখতে শুরু করেন। মেয়াদ ফুরনোর ঠিক আগে গত বছর সেপ্টেম্বর থেকে অফিসে টালবাহানা শুরু হয়। পুজোর সময় থেকে কাটোয়া শাখা বন্ধ করে দেওয়া হয়। অগ্রদ্বীপের এজেন্ট মধুসূদন সাহা বলেন, “আমরা টাকা ফেরত চেয়ে দফতরের প্রধান শাখায় গিয়েছি। প্রতিবারই আমাদের নির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে বলা হয় টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু সেই তারিখ পেরিয়ে গেলেও টাকা ফেরত দেওয়া হয় না।” এই সংস্থার কাটোয়া শাখায় প্রায় দেড় হাজার এজেন্ট রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই নবদ্বীপ, বোলপুর, কালনার বাসিন্দা। তাঁরা জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে কাটোয়ার স্টেশন বাজারের কাছে ওই সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। সংস্থার কর্মী শুভ্রু দত্ত বলেন, “সে দিন আমরা এজেন্টদের কাছ থেকে আমানতকারীদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছিলাম। তা ডায়মন্ডহারবারে সংস্থার সদর দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
ওই সংস্থার এজেন্ট ও আমানতকারীরা পুলিশকে জানান, প্রায় আট মাস আগে মেয়াদ শেষ হলেও গচ্ছিত টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। সংস্থার কারও দেখাও মিলছে না। পুলিশ ওই সংস্থার এজেন্ট ও আমানতকারীদের কাছ থেকে অভিযোগ জমা নিয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|