মিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ, নালিশ সিপিএমের |
সিপিএমের রানিগঞ্জের জোনাল কমিটির সম্পাদক রুনু দত্ত জানান, মিছিল শুরুর আগে এক উচ্চপদস্থ পুলিশ অধিকর্তা এসে মিছিল করতে নিষেধ করেন। তিনি বলেন, “আমরা মিছিল করলে অশান্তি হতে পারে, এই অজুহাতে পুলিশ কর্তারা মিছিল করতে দিল না। আমরা বৃহস্পতিবার ওসি’র কাছে মৌখিক অনুমতি চেয়েছিলাম। তা দেওয়া হয়েছিল।” তৃণমূলের বিধায়ক সোহরাব আলি বলেন, “সিপিএমের এক সাংসদ ও এক বিধায়ক জড়ো হয়েছিলেন। রানিগঞ্জে শান্তি ফিরে এসেছে। আবার তা অশান্ত করে তুলতে চাইছে ওরা। আমি পুলিশকে ফোন করে জানাই, বিনা অনুমতিতে কিছুতেই যাতে এরা মিছিল করতে না পারে তার ব্যবস্থা করতে।”
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি সেন্ট্রাল সুরেশ চাডিয়া জানান, অশান্তির আশঙ্কাতেই কাউকে মিছিল করতে দেওয়া হয়নি। এর সঙ্গে রাজনৈতিক পক্ষপাতের কোনও সম্বন্ধ নেই।
এ দিন কুলটির নিয়ামতপুরেও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে একটি মিছিল বের করে স্কুল পড়ুয়ারা। স্থানীয় বেলরুই উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া, শিক্ষক শিক্ষিকা ও অভিভাবকেরা এই মিছিলে যোগ দেন। এলাকার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে স্কুলে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। অন্য দিকে, এই ঘটনায় জড়িত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ও শিল্পাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির অভিযোগ তুলে বিজেপির আসানসোল জেলা কমিটির পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দের সঙ্গে দেখা করেন। একটি স্মারকলিপিও দেন তাঁরা। শিল্পাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা।
|