জলসঙ্কট, রাস্তা সংস্কারের দাবি |
জামুড়িয়ার বিভিন্ন এলাকায় জল সঙ্কট দূর করা, রাস্তা সংস্কার, রাজনৈতিক রঙ না দেখে বার্ধক্য ও বিধবা ভাতা দেওয়ার দাবিতে জামুড়িয়া পুরসভায় বিক্ষোভ দেখাল জামুড়িয়া ব্লক যুব কংগ্রেস। ওই সংগঠনের লোকসভা কেন্দ্রের সভাপতি সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, বছর তিনেক আগে অজয় নদের জল নিয়ে একটি জলপ্রকল্প তৈরি করেছিল জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। পুরসভা ওই জলপ্রকল্পটি থেকে পুরসভার ২৩ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৯টি ওয়ার্ডে জল সরবরাহের ব্যবস্থাও করেছিল। কিন্তু প্রচন্ড গরমে কল থাকলেও এলাকাবাসী পর্যাপ্ত পরিমাণ জল পাচ্ছে না। ফলে জলের দাবিতে বিভিন্ন এলাকায় বারবার বিক্ষোভ হচ্ছে। কয়েকটি সংযোগকারী রাস্তার অবস্থাও বেহাল। পুরপ্রধান ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, গ্রীষ্মকাল জুড়ে প্রতিটি ওয়ার্ডেই পুরসভা ট্যাঙ্কারে করে জল পাঠাচ্ছে। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে মাঝেমাঝে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। রাস্তা সংস্কারে পুরসভা উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তিনি দাবি করেন।
অন্য দিকে, প্রায় দেড় মাস ধরে জলসঙ্কটে ভুগছে কেন্দা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। এই অভিযোগে ইসিএলের নিউ কেন্দা কোলিয়ারির কেন্দা প্যাচ, ইস্ট কেন্দা খোলামুখ খনি, ইস্ট কেন্দা প্যাচ সাড়ে চার ঘণ্টা উৎপাদন বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল। তৃণমূলের প্রদেশ কমিটির সদস্য মুকুল বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এ দিন তাঁরা এজেন্টকে ঘেরাও করে রেখে উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁর দাবি, শালডাঙা, কোন্দাকুলি, কোড়াপাড়া, ঝাটিবন এবং কেন্দা গ্রামে ইসিএল জল সরবরাহ করছে না। ফলে বিরাট অংশের খনি কর্মীদের নাকাল অবস্থা। বারবার প্রতিকারের দাবি জানিয়েও কোনও ফল মেলেনি। শেষপর্যন্ত কেন্দা এরিয়ার জিএম ইউনিস আনসারির হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। তিনি পাইপলাইনে জল সরবরাহের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন পাঁচ ট্যাঙ্কার জল সরবরাহ করা হবে বলে আশ্বাস দেন। |