হামলার ঠিক আগেই জেসি রাইডারের সঙ্গে হাত মেলায় ও হেসে কথাও বলে এক হামলাকারী। কিছুক্ষণ পর তার সঙ্গে আরও দু’জন যোগ দেয় এবং তার পরই শুরু হয়ে যায় মারধর। ক্লোজড সার্কিট টিভির ফুটেজে এই ঘটনা দেখেছে পুলিশ। হামলাকারীদের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সামান্য হলেও জেসির শারীরিক অবস্থারও উন্নতি হয়েছে। তবে আঠাশ বছর বয়সি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটার ক্রাইস্টচার্চের হাসপাতালের আইসিইউ-তে এখনও কোমায়। রাইডারের উপর দুষ্কৃতীদের আক্রমণের আসল রহস্যাটা কী, তা কয়েক দিনের মধ্যেই পরিষ্কার জানা যাবে, এমনই ধারণা পুলিশ কর্তাদের।
রাইডারের ম্যানেজার অ্যারন ক্লি জানান, জেসির অবস্থার ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। তিনি চিকিৎসায় সাড়াও দিচ্ছেন। যদিও এখনও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটেই রাখা হয়েছে তাঁকে। ফুসফুসে চোট লাগায় শ্বাসকষ্টও রয়েছে তাঁর এবং সে জন্য কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের সাহায্য নিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তবে জেসির মাথার চোট ঠিক কতটা গুরুতর, সেই সম্পর্কে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছননি তাঁরা। |
ক্রাইস্টচার্চের এই হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছে রাইডারের। ছবি: গেটি ইমেজেস |
ক্লোজ সার্কিট টিভির ফুটেজ দেখে ২০ বছরের এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার এক ৩৭ বছর বয়সি আত্মীয়কেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আগামী বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হবে। ফুটেজ দেখে পুলিশের ধারণা হয়েছে, দুই বা তিন জন জেসির ওপর হামলা চালিয়েছিল। যে পানশালার বাইরে ঘটনাটি ঘটে, তার মালিক স্টিভ হোমস জানিয়েছেন, সেই রাতে পানশালা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রাইডারকে পিছন থেকে এক জন ডাকে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে জেসি ওই তরুণের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন, হাতও মেলান। সেখানে আরও দু’জন এসে যোগ দেয়। এর পর জেসি সেখান থেকে বেরিয়ে যান। তাঁকে অনুসরণ করে ওই তিন জন। বাইরে বেরিয়ে আসার পর জেসি যখন একটা ফাস্ট-ফুডের দোকানের দিকে যাচ্ছিলেন, তখনই তাঁর উপর হামলা চালানো হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী, যিনি ওই পানশালায় তখন ছিলেন সেই রেগান হার্ভে পুলিশের কাছে বিবৃতি দিয়েছেন, “বাইরে তুমুল চিৎকার-চেঁচামেচি শুনে বেরিয়ে এসে দেখি কয়েক জন মিলে এক জনকে প্রচণ্ড মারধর করছে। কিন্তু কাউকেই দেখে মনে হয়নি, তারা মদ্যপ।” তা হলে কেন এই হামলা, তা-ই জানার চেষ্টা করছে নিউজিল্যান্ড পুলিশ।
|