কড়া সিপিআই, শো-কজ সেই কাউন্সিলারকে
নির্দেশ মেনে চিঠি প্রত্যাহার না-করায় শেষমেশ দলীয় কাউন্সিলার তৈমুর আলি খানকে শো-কজ করল সিপিআই। কাল, রবিবারের মধ্যে শো-কজের উত্তর দিতে বলা হয়েছে। উত্তর না-দিলে অথবা উত্তর নেতৃত্বের পছন্দ না-হলে ওই কাউন্সিলারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে বলেই দলীয় সূত্রে খবর। সে ক্ষেত্রে তৈমুরের ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনের দাবিও জানাতে পারে সিপিআই।
শুক্রবার খড়্গপুরে সিপিআইয়ের দলীয় কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই দলীয় কাউন্সিলারকে শো-কজের বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানো হয়। ছিলেন সিপিআইয়ের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর দুই সদস্য জ্যোতিলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, বিপ্লব ভট্ট প্রমুখ। নেতৃত্বের বক্তব্য, আশা করছি ওই কাউন্সিলর রবিবারের মধ্যেই শো-কজের উত্তর দেবেন। না-দিলে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
চিঠিটি শুক্রবার সকালেই হাতে পেয়েছেন ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলার। এ দিন তিনি বলেন, “আজ সকালেই চিঠি পেয়েছি। উত্তর দিয়ে দেব।” বস্তুত, তিন সিপিআই কাউন্সিলারের এক চিঠি ঘিরে গত ক’সপ্তাহ ধরে শোরগোল চলেছে খড়্গপুরে। মার্চের গোড়ায় খড়্গপুরের মহকুমাশাসককে এক চিঠি দেন লিপিকা বাগদি, মমতাজ কুদ্দুস এবং তৈমুর আলি খানএই তিন সিপিআই কাউন্সিলর। চিঠিতে জানানো হয়, তৃণমূলের জহরলাল পাল পুরপ্রধান হলে তাঁদের সমর্থন থাকবে। তৃণমূলের এক কাউন্সিলারকে কেন পুরপ্রধান হিসেবে দেখতে চাইছেন সিপিআই কাউন্সিলাররা, তা নিয়েই শুরু হয় জল্পনা। চলে শোরগোল। বিড়ম্বনায় পড়েন সিপিআইয়ের জেলা নেতৃত্ব।
পরিস্থিতি দেখে সিপিআই নেতৃত্ব ‘ড্যামেজ কন্ট্রোলে’ নামেন। যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন ‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলারদের সঙ্গে। তবে তাঁদের নিয়ে বৈঠকই করতে পারছিলেন না নেতৃত্ব। পরে অবশ্য একাধিক বৈঠক হয়। খড়্গপুরে হয়। মেদিনীপুরেও হয়। দলীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলেন দলের জেলা সম্পাদক সন্তোষ রানা। কাউন্সিলারদের কাছে চিঠি প্রত্যাহারের আর্জি জানানো হয়। জানানো হয়, তাঁদের এই পদক্ষেপ দল সমর্থন করে না। দলকে কিছু না-জানিয়ে মহকুমাশাসককে এমন চিঠি দেওয়া ঠিক হয়নি। এরপর দুই সিপিআই কাউন্সিলার সুর কিছুটা নরম করেন। দলীয় নেতৃত্বকে আশ্বাস দেন, তাঁরা ওই চিঠি প্রত্যাহার করে নেবেন। সেই মতো মঙ্গলবার তাঁরা চিঠি প্রত্যাহার করেন। তবে নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন তৈমুর। অবস্থা দেখে অন্য দুই কাউন্সিলারকে নিয়ে শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করেন সিপিআই নেতৃত্ব। নেতৃত্বের বক্তব্য, দুই কাউন্সিলারকে ভুল বোঝানো হয়েছিল। বিভ্রান্ত হয়েই তাঁরা মহকুমাশাসককে চিঠি দিয়েছিলেন। পরে ভুল বুঝতে পেরে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বিপ্লব ভট্ট বলেন, “দল আর এক কাউন্সিলারকে শো-কজ করেছে। রবিবারের মধ্যে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। আশা করব, ওই কাউন্সিলারও চিঠি প্রত্যাহার করবেন।” যদি না করেন? ওই সিপিআই নেতার কথায়, “তখন শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে বহিষ্কার করা হতে পারে।”

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.