জেলে মাদক পাচারের সময় হাতেনাতে ধৃত এক
জেলের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল মাদক দ্রব্য। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের অন্দরে। বৃহস্পতিবার রাতে জেলের মধ্যে তল্লাশি চালান এআইজি (কারা) কল্যাণ প্রামাণিক, ডিআইজি (কারা) শোভন দীন। সেই সময় ৫ প্যাকেট মাদক দ্রব্য উদ্ধার হয়। অন্য দিকে, শুক্রবার দুপুরে আবার মাদক দ্রব্য পাচারের সময় এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন এক জেল কর্মী। পরে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এক সাজাপ্রাপ্ত বন্দির সঙ্গে দেখা করতে ওই ব্যক্তি সংশোধনাগারে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে বিস্কুট প্যাকেট ছিল। সেই প্যাকেটের মধ্যে মাদক দ্রব্য ছিল বলে জেল সূত্রে খবর। উদ্ধার হয়েছে সব মিলিয়ে ৪১ প্যাকেট মাদক দ্রব্য। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এআইজি’র বক্তব্য, “এক আবাসিকের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন ওই ব্যক্তি। জেলে ঢোকার পর ধরা পড়ে যান। সঙ্গে যে বিস্কুট প্যাকেট ছিল, তাতে মাদক দ্রব্য ছিল। ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।” শুক্রবারের ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল প্রভাবিত ‘বঙ্গীয় কারারক্ষী সমিতি’। সমিতির রাজ্য সাধারণন সম্পাদক নিরুপম খাঁড়া’র বক্তব্য, “আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা জরুরি।” সমিতির অভিযোগ, জেলের একাংশ অফিসারের মদত না-থাকলে এ ভাবে জেলের মধ্যে মাদক দ্রব্য ঢুকতে পারে না। এমনকী, শুক্রবারের ঘটনাটিও ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ সমিতির।
জেলেরই এক সূত্রে খবর, এদিন দুপুরে বিনোদকুমার যাদব নামে এক সাজাপ্রাপ্ত বন্দির সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন শিশিরকুমার দাস নামে এক ব্যক্তি। শিশিরবাবুর সঙ্গে বিস্কুট প্যাকেট ছিল। তাঁকে দেখে বিশ্বনাথ হাঁসদা নামে এক ওয়ার্ডারের সন্দেহ হয়। পরে দেখা যায়, ব্যক্তির সঙ্গে থাকা বিস্কুট প্যাকেটের মধ্যে মাদক দ্রব্য রয়েছে। এরপরই তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। অবশ্য জেলের মধ্যে এ ভাবে মাদক পাচারের অভিযোগ নতুন নয়। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন আইজি’কে (কারা) এক চিঠি দেন এডিজি (আইবি)। ওই চিঠিতে জেলেরই এক কর্মী সম্পর্কে সতর্ক করা হয়। জানানো হয়, ওই কর্মীর মদতে বন্দিদের কাছে মোবাইল, টাকা, মাদক দ্রব্য ও গোপন চিঠি পৌঁছচ্ছে। সতর্কবার্তা পেয়ে নড়েচড়ে বসে জেল কর্তৃপক্ষ। পরে ওই কর্মীকে অন্যত্র বদলি করা হয়। এই সময়ের মধ্যে জেল থেকে কয়েকবার মোবাইলও উদ্ধার হয়েছে। তারপরই বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার দুপুরের ঘটনা। আইজির বক্তব্য, “কী ভাবে জেলের মধ্যে মাদক দ্রব্য ঢুকছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” তাঁর কথায়, “বৃহস্পতিবার আমি আর ডিআইজি জেলে গিয়েছিলাম। তখন ৫ প্যাকেট মাদক উদ্ধার হয়। শুক্রবার এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৪১ প্যাকেট উদ্ধার হয়েছে। তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.