|
|
|
|
খড়্গপুর পুরসভা |
তৃণমূলকে সমর্থন সিপিআইয়ের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পুরপ্রধান পদে তৃণমূলের প্রার্থীকে সমর্থন করতে চাইছেন সিপিআই কাউন্সিলররা। এমনই ঘটনা ঘটেছে রেলশহর খড়্গপুরে। শনিবার সকালে মহকুমাশাসক আর বিমলাকে চিঠি দিয়ে তিন সিপিআই কাউন্সিলর তৈমুর আলি খান, লিপিকা বাগদি ও মমতাজ কুদ্দুস জানান, ‘তৃণমূলের জহরলাল পাল পুরপ্রধান হলে তাঁদের সমর্থন থাকবে।’ আর এই সমর্থনে পুরসভার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে তৃণমূল।
তৃণমূলকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত সিপিআইয়ের দলগত নয়। দলীয় নেতৃত্বকে না জানিয়েই ওই তিন কাউন্সিলরের এই সিদ্ধান্ত। তাঁরা পুরসভার বিরোধী দলনেতা সিপিএমের অনিতবরণ মণ্ডলকেও কিছু জানাননি। সিপিআই কাউন্সিলর তৈমুর আলি খান বলেন, “দীর্ঘ দিন ধরেই পুরসভায় অচলাবস্থা চলছে। পুরসভার স্বার্থে আমরা তিন কাউন্সিলর আলোচনার মাধ্যমে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” এই ঘটনায় বিব্রত সিপিআইয়ের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক সম্পাদক সন্তোষ রাণার বক্তব্য, “চিঠির ব্যাপারে কিছু জানি না। দলের মতও কেউ নেননি।” তৃণমূলের জহরলাল পাল বলেন, “ওঁদের কাছে কৃতজ্ঞ।”
জহরলালবাবুই খড়্গপুরে তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের পুরপ্রধান ছিলেন। গত ১৪ অগস্ট পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে কংগ্রেস। তা নিয়ে ২৭ অগস্ট বোর্ড মিটিং হয়। মিটিং বৈধ না অবৈধ, তা নিয়েই জটিলতার শুরু। কংগ্রেসের দাবি, বৈধ ভাবেই মিটিং হয়েছে। অনাস্থা ভোটে হারেন পুরপ্রধান জহরলাল পাল। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য ছিল, মিটিং অবৈধ। এই নিয়ে হাইকোর্টে মামলা চলছে। কোর্টের নির্দেশে বর্তমানে পুরপ্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন উপ-পুরপ্রধান তৃণমূলের তুষার চৌধুরী। সিপিআই কাউন্সিলরদের চিঠি নিয়ে তিনি মন্তব্য করতে চাননি।
খড়্গপুর পুরসভায় ৩৫ জন কাউন্সিলর আছেন। ১৫ জন তৃণমূলের, ১৪ জন কংগ্রেসের, ৩ জন সিপিআইয়ের ও ১ জন করে সিপিএম, বিজেপি ও নির্দল কাউন্সিলর। বিজেপি ও নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়েই কংগ্রেস অনাস্থা এনেছিল। বাম কাউন্সিলররা ভোট দেননি। |
|
|
|
|
|