|
|
|
|
বারুদের বস্তা থেকে আগুন ছড়াল বাসে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বারুদ থেকে বাসে আগুন লাগল পিংলা থানার মুণ্ডুমারি এলাকায়। শনিবার সকালে এগরা-মেদিনীপুর রুটের একটি বাসে এই ঘটনা ঘটে। জখম হন বাসের এক কর্মী ও দু’জন যাত্রী। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খড়্গপুরের এসডিপিও দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “বাসের পিছনে বারুদের বস্তা ছিল। হঠাত্ তাতে আগুন লাগে। বাসটিকে আটক করা হয়েছে।”
এ দিন সকাল দশটা নাগাদ বাসটি মুণ্ডুমারিতে এসে পৌঁছয়। বাসের পিছনে মালপত্র রাখার জায়গায় বারুদের বস্তাটি ছিল। এক ব্যক্তি এগরা থেকে ওই বস্তা বাসে তুলে দিয়েছিলেন। মুণ্ডুুমারিতে বস্তা নামানোর সময়ই বারুদ থেকে আগুন জ্বলে ওঠে। জখম হন বাসের এক কর্মী। আতঙ্কিত যাত্রীরা দ্রুত নামার চেষ্টা করেন। তখন জখম হন আরও দুই যাত্রী। শেষ পর্যন্ত স্থানীয়রাই জল ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ পৌঁছে বারুদের বস্তাটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। কিন্তু বাসে করে বারুদের বস্তা কোথায় যাচ্ছিল, কেনই বা যাচ্ছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী পুলিশের দাবি, মুণ্ডুমারিতে এক বাজি ব্যবসায়ীর কাছে ওই বারুদ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তৃণমূলের পিংলা ব্লক সভাপতি গৌতম জানাও বলেন, “শুনেছি, বাজি তৈরির জন্যই বারুদের বস্তা আনা হচ্ছিল। ওই বস্তা যাঁর কাছে পৌঁছনোর কথা, তিনি বাজি ব্যবসায়ী।” তবে বিরোধীর মতে, সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই সময় গ্রামেগঞ্জে বোমা তৈরি হবে। ফলে, সে জন্য বারুদ আনা হচ্ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা দরকার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কংগ্রেস সভাপতি স্বপন দুবে বলেন, “বারুদের বস্তা কার কাছে পৌঁছনোর কথা ছিল, তা খতিয়ে দেখা উচিত।” সিপিএমের পিংলা জোনাল কমিটির সম্পাদক নয়ন দত্তেরও বক্তব্য, “পুলিশের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা উচিত।” |
|
|
|
|
|