|
|
|
|
নন্দীগ্রাম মামলায় ধৃত লিবারেশন নেতা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
সিপিআই (এমএল) লিবারেশনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রাম-মামলায় গ্রেফতার করল পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায় মহিষাদল থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। গোটা ঘটনায় বিস্মিত লিবারেশন নেতৃত্ব। কারণ, তাঁরা জেনেছিলেন, বিপ্রদাসবাবু-সহ দলের ছ’জনের উপর থেকে নন্দীগ্রাম মামলা প্রত্যাহারের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কিন্তু এ দিনের ঘটনা তার বিপরীত। লিবারেশন নেতৃত্বের আরও বিস্ময় যে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে সওয়ার হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হলেন, সেই সংক্রান্ত মামলায় তাঁর পুলিশই এক জনকে গ্রেফতার করল!
লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ জানান, ২০০৭ সালের ৩ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ হয়। পর দিন ৪ জানুয়ারি বিপ্রদাসবাবু-সহ তাঁদের দলের ছ’ জন ওই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নন্দীগ্রাম যান। সে দিনই পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। পরে তাঁরা ছাড়া পান। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা ঝুলেই ছিল। গত ১১ অক্টোবর লিবারেশন নেতৃত্ব মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ওই ছ’ জনের উপর থেকে মামলা তোলার আর্জি জানান। পার্থবাবু বলেন, “সে দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তত্কালীন আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এবং শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও ছিলেন। তাঁদের সামনেই মুখ্যমন্ত্রী ওই ছ’ জনের উপর থেকে মামলা তোলার নির্দেশ দেন।” লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদকের অভিযোগ, “এর পরেও পুলিশি হয়রানি বন্ধ না হওয়ায় আমরা ফের পার্থবাবুকে অনুরোধ করি। তিনি বলেন, চিন্তার কিছু নেই। তা সত্ত্বেও এ দিন বিপ্রদাসবাবুকে গ্রেফতার করা হল।” এ দিন বিপ্রদাসবাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করার পরেও শিল্পমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক। তাঁর কথায়, “উনি ফোনে বললেন, দেখছি। তার পরেও সুরাহা হল না। তার পর থেকে ওঁকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না।” |
|
|
|
|
|