|
|
|
|
মালিকদের বিক্ষোভে বন্ধ বাস থেকে টোল আদায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
টোলপ্লাজা চালুর দিনই টোলের হার কমানোর দাবিতে পথে নামলেন বাস মালিকরা। বাস আটকে চলল বিক্ষোভ। আর তার জেরে বন্ধ রইল বাস থেকে টোল আদায়।
হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে তমলুকের সোনাপেতায় টোলপ্লাজা চালু হয়েছে শনিবার। সকাল ১০টা থেকে টোল আদায় শুরু হয়। ১১টা নাগাদ পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক বাস মালিক সংগঠনের জনা তিরিশেক সদস্য টোলপ্লাজার সামনে বাস থামিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। বিক্ষোভের জেরে টোলপ্লাজার দু’দিকে যাত্রিবাহী বাস আটকে পড়ে। পরে পুলিশের মধ্যস্থতায় বাস মালিকদের সঙ্গে টোল আদায় সংস্থার কর্মকর্তাদের আলোচনা হয়। বেলা ১২টা নাগাদ বিক্ষোভ তুলে নেওয়া হয়। তবে এ দিন আর কোনও বাস থেকে টোল আদায় করা যায়নি। অন্য গাড়ি থেকে অবশ্য নিয়ম মেনে টোল আদায় হয়েছে দিনভর।
সোনাপেতায় টোল আদায়ের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থার কর্তা অঙ্গদ সিংহ বলেন, “বাস মালিকরা টোল কমানোর দাবি তুলেছেন। আমরা জানিয়েছি, টোল নির্ধারণ করেছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। |
|
হলদিয়া-মেচেদা ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে তমলুকের সোনাপেতা টোলপ্লাজা। —নিজস্ব চিত্র |
এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই।” জাতীয় সড়ক সংস্থার পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প অধিকর্তা অনিল দীক্ষিতেরও একই বক্তব্য। তিনি বলেন “টোল নির্ধারণের ক্ষেত্রে আমাদের অথবা রাজ্যের কিছুই করণীয় নেই।”
সাম্প্রতিক কালে রাজ্যের নানা প্রান্তে বিভিন্ন কারণে টোল আদায় বন্ধ করে বিক্ষোভ হয়েছে। বর্ধমানের পালসিট, হুগলির ডানকুনি, পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় তৃণমূলের নেতৃত্বে বিক্ষোভ হয়েছে টোল আদায়কারী ঠিকাদার সংস্থায় পুরনো কর্মীদের কাজে বহাল রাখার দাবিতে। আবার হাওড়ার ধূলাগড়ি টোলপ্লাজায় টোলের হার কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন বাস মালিকেরা। তমলুকে এ দিনের বিক্ষোভে অবশ্য তৃণমূল-কংগ্রেস-বাম, সব ধরনের বাস মালিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরাই সামিল হয়েছিলেন। পূর্ব মেদিনীপুর ডিস্ট্রিক্ট বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা কার্যকরী সভাপতি স্বপন মাইতি, জেলা বাস ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক সামসের আরেফিন, পূর্ব মেদিনীপুর বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি সুব্রত পট্টনায়েক সমস্বরে অভিযোগ করেন, “আগাম কিছু না জানিয়ে টোল আদায় চালু হয়েছে। এক বার বাস নিয়ে গেলে ৭৫ টাকা দিতে হচ্ছে। আর যাওয়া-আসার জন্য দিতে হচ্ছে ১০৫ টাকা। এই হারে টোল দিয়ে বাস চালালে লোকসানের মুখে পড়তে হবে।” |
|
|
|
|
|