টুকরো খবর
রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে নালিশ, তদন্তের নির্দেশ
এক রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ এনে জেলা খাদ্য নিয়ামক এবং বিডিওকে চিঠি দিয়েছেন এলাকার কিছু মানুষ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তও শুরু হয়েছে। খাদ্য দফতর জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে। অভিযুক্ত অনিমা মহাপাত্রের শালবনি থানার গোবরুতে রেশন দোকান রয়েছে। অভিযোগকারীদের পক্ষে শ্রীমন্ত চক্রবর্তী বলেন, “ওই ডিলার কম মাল দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় নানা অজুহাত দেখান। প্রতিবাদ করলে খারাপ ব্যবহার করেন। বিষয়টি আমরা জেলা খাদ্য নিয়ামক এবং বিডিওকে জানিয়েছি। আশা করি, কর্তৃপক্ষ ডিলারের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।” ডিলারের অবশ্য দাবি, এ সবই মিথ্যে অভিযোগ। তাঁর বক্তব্য, একদিন ওই অভিযোগকারী দোকানে এসে অন্য গ্রাহকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। তার জন্যই এই অভিযোগ। ইতিমধ্যে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিডিও অফিসের এক কর্মী রেশন দোকানে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি, মজুত মালের হিসেবও দেখেন। জেলা খাদ্য নিয়ামক পার্থপ্রতিম রায়ের বক্তব্য, “অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।”

নির্মাণ কর্মীদের প্রথম জেলা সম্মেলন
সম্মেলনে নেতৃত্বরা। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।
সারা বাংলা নির্মাণ কর্মী ইউনিয়নের প্রথম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলন হল শুক্রবার। মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে এই সম্মেলনে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের নির্মাণ কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ইউনিয়নের বক্তব্য, অসংগঠিত শ্রমিকদের নির্দিষ্ট মজুরি নেই। সরকার পেনশনের কথা ঘোষণা করলেও তা নামমাত্র। শ্রমিকদের জন্য যে সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তা-ও সকলে পাচ্ছেন না। এক শ্রেণির আধিকারিকের দুর্নীতির ফলে ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি হচ্ছে। এই সবের প্রতিবাদে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সারা বাংলা নির্মাণ কর্মী ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক শান্তি ঘোষ। সম্মেলন থেকে জেলা সভাপতি ও সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন যথাক্রমে নারায়ণ অধিকারী এবং পূর্ণ বেরা। ৩৯ জনের জেলা কমিটি গঠন করা হয়। নির্মাণ কর্মীদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য স্টাইপেন্ড দেওয়া, গৃহ নির্মাণের জন্য দুই লক্ষ টাকা করে অনুদান দেওয়া-সহ আরও বেশ কিছু দাবি উঠে এসেছে সম্মেলনে।

উচ্ছেদের দাবি নাজিমের
দ্রুত দখল উচ্ছেদের দাবি জানিয়ে মহকুমাশাসক (সদর) অমিতাভ দত্তকে চিঠি লিখলেন মেদিনীপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান নাজিম আহমেদ। প্রসঙ্গত, দখল উচ্ছেদ নিয়ে গত ক’দিন ধরে শোরগোল চলছে মেদিনীপুরে। প্রশাসন-পুরসভার মধ্যে শুরু হয়েছে চিঠি চালাচালি। মহকুমাশাসক (সদর) চিঠি দিয়েছেন পুরপ্রধানকে। পুরপ্রধান আবার চিঠি দিয়েছেন মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে। মেদিনীপুর শহরের নিবেদিতাপল্লিতে সরকারি জমি দখল হচ্ছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে সেখানে বেশ কিছু ঝুপড়ি তৈরি হয়েছে। মহকুমাশাসককে লেখা চিঠিতে প্রাক্তন পুরপ্রধানের বক্তব্য, ‘আমাদের শহরটাকে অশান্ত করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। সরকারি জমি সুপরিকল্পিত ভাবে বেদখল হয়েছে। অপেক্ষা না-করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। জবরদখলকারীদের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় দেখা উচিত নয়।’ প্রশাসন জানিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব দখল উচ্ছেদ করা চেষ্টা চলছে।

আসছেন নিরুপম
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে সভা করতে চলেছে সিপিএম। আজ, শনিবার মেদিনীপুর শহরের জেলা পরিষদ হলে এক সভায় উপস্থিত থাকার কথা প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেনের। এটি দলের সাধারণ সভা। জেলা কমিটির সদস্য, জোনাল কমিটির সদস্য, লোকাল কমিটির সদস্যরা সভায় থাকবেন। এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচন ‘কঠিন লড়াই’ বলেই মানছেন পার্টি নেতৃত্ব। এ জন্য বামফ্রন্টের বৈঠকেও শরিকী ঐক্যে জোর দেওয়া হয়েছে। বার বার বৈঠকের পরও কিছু আসনে ফ্রন্টের মধ্যে মতানৈক্য আছে। নেতৃত্বের অবশ্য দাবি, সার্বিক ঐক্য গড়েই তাঁরা পঞ্চায়েতে লড়বেন। এই পরিস্থিতিতেই জেলা সিপিএম মেদিনীপুরে সভা করতে চলেছে। সভায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের কৌশল নিয়ে আলোচনা হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর।

পুকুর নিয়ে উত্তেজনা
একটি পুকুর নিয়ে শুক্রবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায় মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাঁচখুরি এলাকায়। পুকুরের পাশে তৃণমূলের ঝান্ডা পুঁতে দেওয়া হয়। স্থানীয় একাংশের বক্তব্য, পুকুর দখল করার চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার রাতে এখানে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারিতে জখম হন অন্তত ৩ জন। তৃণমূলের গোষ্ঠী-বিবাদেই এমন ঘটনা বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। দলের সদর ব্লক সভাপতি দিলীপ দে’র বক্তব্য, “পাঁচখুরিতে মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে জানি না। আমার কাছে খবর নেই।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.