উল্টোডাঙা উড়ালপুলের ভেঙে যাওয়া গার্ডার ফের ব্যবহার করা যাবে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল। রবিবার তাঁরা উল্টোডাঙা খালের উপরে মাচা বেঁধে উঠে ভাঙা অংশ পরীক্ষা করেন। ওই বিশেষজ্ঞ দল জানিয়েছে, ভেঙে যাওয়া গার্ডারের আল্ট্রাসোনোগ্রাফি থেকে শুরু করে এক্স রে-সহ বেশ কিছু পরীক্ষা হয়েছে।
রবিবার আট সদস্যের ওই বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এগারোটা নাগাদ। ঘণ্টা চারেক বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন তাঁরা। দলের প্রধান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক দীপঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “আশা করছি গার্ডার সংক্রান্ত রিপোর্ট রাজ্য সরকারকে সাত দিনের মধ্যেই দিতে পারব। গার্ডারটি পুনর্ব্যবহারের যোগ্য কি না, সেটাই আজ পরীক্ষা করে দেখলাম।” |
দীপঙ্করবাবু জানান, মানুষের শরীরে কোনও কোষ বা টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কি না, তা জানতে যেমন আল্ট্রাসোনোগ্রাফি হয়, সে ভাবেই এ দিন গার্ডারের ভিতরে কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না দেখতে আলট্রাসোনোগ্রফি টেস্ট হয়। বাইরে থেকে এই আঘাত বোঝার উপায় নেই। ভাঙা গার্ডারটি এখনও কতটা শক্তিশালী, তা দেখতে এক্সরে ও হার্ডনেস টেস্টও হয়েছে।
আগেই উড়ালপুলের ওই ভাঙা অংশটি ব্যবহারের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল রাজ্য সরকার। প্রাথমিক ভাবে বিশেষজ্ঞ দল ভাঙা গার্ডারটি ব্যবহারের অযোগ্য বলেই মনে করেছিল। কেএমডিএ-র এর চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার অরূপ সাহা জানান, ভাঙা অংশটি ব্যবহার করা গেলে ভাল হয়। তবে তা নির্ভর করছে বিশেষজ্ঞদের মতামতের উপরে। যাদবপুরের বিশেষজ্ঞ দল প্রথম দফায় পরীক্ষা করে গত বৃহস্পতিবার। এ দিন দ্বিতীয় দফার পরীক্ষার পরে দীপঙ্করবাবু বলেন, “গার্ডার সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ। এ বার রিপোর্ট দেওয়া হবে।”
এ দিকে, ৩ মার্চ ভোরে উল্টোডাঙা উড়ালপুল ভেঙে পড়ার পরে এখনও একই ভাবে খালে রয়ে গিয়েছে ভাঙা গার্ডারটি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ দল ছাড়াও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দলও ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে। যদিও সেতু ভাঙার কারণ সংক্রান্ত রিপোর্ট এখনও দেয়নি তারা।
|