শুধু পুলিশের টহলদারি বাড়ালেই হবে না, এলাকার আইন-শৃঙ্খলার উন্নতির জন্য সচেতন হতে হবে সাধারণ মানুষকেও। রবিবার বাঙুরের টাউন হলে বিধাননগর কমিশনারেটের কর্তাদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের বৈঠকে এমনটাই জানালেন পুলিশকর্তারা। সভার উদ্যোক্তা ছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রতিনিধিরা। পুলিশকর্তাদের দাবি, পুলিশি টহল বেড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে বেড়েছে পিকেটিং। তা সত্ত্বেও সম্প্রতি কিছু অপরাধমূলক ঘটনা ঘটেছে। মানুষ আরও বেশি সচেতন হলে এই ধরনের অপরাধ অনেকটাই কমবে বলে তাঁদের আশা।
গত দশ দিনে বাঙুর, লেকটাউন, শ্রীভূমি এলাকায় বেশ কিছু কেপমারি, ছিনতাই ও চুরির ঘটনা ঘটেছে। বাঙুরের কাউন্সিলর মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, “বাসিন্দাদের অনেকেরই পুলিশি টহলদারি নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। পুলিশকর্তাদের সাধারণ মানুষকে কিছু বার্তা দেওয়ার ছিল। সেই কারণেই এ দিন সাধারণ মানুষের সঙ্গে পুলিশকর্তাদের সরাসরি কথা বলার ব্যবস্থা করা হয়।”
রবিবারের সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রায় আড়াইশো মানুষ। সাম্প্রতিক চুরি-ছিনতাইয়ের প্রসঙ্গে বৈঠকে উঠে আসে একটি কেপমারির ঘটনা। দিন কয়েক আগে শ্রীভূমি এলাকায় সকালে পুলিশ সেজে একদল দুষ্কৃতী এক প্রৌঢ়ার গয়না কেপমারি করে পালায়। ওই দুষ্কৃতীরা প্রৌঢ়াকে বলে চারদিকে ছিনতাই হচ্ছে, তিনি যেন গয়নাগাঁটি খুলে রাখেন। কথা মতো ওই মহিলা গয়না খুলে রুমালে বেঁধে রাখেন। বাড়ি ফিরে দেখেন, রুমালে গয়না নেই। এ দিন বিধাননগরের এসিপি প্রবীর রায় বলেন, “পুলিশ কখনও রাস্তায় গয়না খুলতে বলে না। এরকম কায়দায় আগেও কেপমারি হয়েছে। রাস্তায় কেউ বললে বিষয়টি কর্তব্যরত পুলিশকর্মীকে জানান।”
পুলিশকর্তারা জানান, কোনও ঘটনা ঘটলে স্থানীয় থানার পাশাপাশি ১০০ নম্বরেও ডায়াল করতে বাসিন্দাদের অনুরোধ করেছেন তাঁরা। তা হলে বিধাননগর কমিশনারেটের অন্য থানাগুলিও সতর্ক হয়ে যাবে। নতুন গাড়ির চালক বা বাড়িতে পরিচারিকা নিযুক্ত হলে থানায় তাঁদের নাম নথিভুক্ত করতেও অনুরোধ করেন পুলিশকর্তারা। তাঁরা জানান, বারবার এলাকাবাসীদের সচেতন করেও তেমন সাড়া মেলেনি। এক বাসিন্দা মৃণাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “সভায় আমরা যেমন অভিযোগ জানালাম, পুলিশকর্তাদেরও গুরুত্বপূর্ণ মতামত শুনলাম। লেকটাউন-যশোহর রোডের মোড়ে দিনে জুয়ার আড্ডা বসে। পুলিশি টহল বাড়লে কিছু দিন তা বন্ধ থাকে। ফের শুরু হয়। এলাকায় মাঝেমধ্যেই মোটরবাইক চুরি হচ্ছে। এই বিষয়গুলিও আমরা পুলিশকর্তাদের নজরে এনেছি।” |