গার্ডেনরিচের ‘মুন্নাভাই’-এর ছকে চলছেন না শম্ভুনাথ কাও। তাই পরিচিত কারও সঙ্গেই ফোনে যোগাযোগ করছেন না মাঠপুকুর-কাণ্ডে ফেরার তৃণমূলের কাউন্সিলর। রবিবার এমনই জানিয়েছে পুলিশ।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কলকাতা শহরতলির কোনও এলাকায় সম্ভবত গা-ঢাকা দিয়েছেন শম্ভুনাথ। কিন্তু আত্মীয়, বন্ধুদের সঙ্গে ল্যান্ডলাইন, মোবাইলে যোগাযোগ করছেন না।
গার্ডেনরিচে এসআই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত শাসকদলের বরো চেয়ারম্যান মুন্না ইকবালকে ফোনের সূত্র ধরেই ধরে গোয়েন্দা পুলিশ। সে কারণেই বাড়তি সতর্ক মাঠপুকুরের ঘটনায় অভিযুক্ত ওই তৃণমূল নেতা। পুলিশের অনুমান, ওই পুরপ্রতিনিধির বিশ্বস্ত কেউ নিয়মিত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। গোপন ডেরায় লুকিয়ে থাকা শম্ভুনাথের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ-ও করছেন। সময়ে-সময়ে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র তাঁর কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন ওই ব্যক্তিই। গোয়েন্দারা ইতিমধ্যেই ‘ফেরার’ শম্ভুনাথের ঘনিষ্ঠ কয়েক জনের গতিবিধির উপর নজরদারি রাখতে শুরু করেছেন।
তদন্তকারীদের বক্তব্য, ফোনের সূত্র ধরে কোনও লোকের খোঁজ সহজেই পুলিশ পেতে পারে, তা অজানা নয় শম্ভুনাথের। তাঁকে ধরার জন্য পরিচিতদের ফোন ‘ট্যাপ’ করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা রয়েছে তাঁর। সে কারণে কাউকেই ফোন করছেন না। |
তৃণমূলের এই পার্টি অফিসেই বসতেন শম্ভুনাথ কাও। —নিজস্ব চিত্র |
দু’দিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের বাড়িতে গিয়ে অভিযুক্ত ওই তৃণমূল কাউন্সিলরকে দ্রুত গ্রেফতার করার নির্দেশ দিলেও, এখনও তা না-হওয়ায় ক্ষুব্ধ অধীর মাইতির পরিজনরা। এ দিন নিহত ওই ব্যক্তির ধাপা রোডের বাড়িতে বসে তাঁর জামাই শান্তি বাগ বলেন, “আশা করছি, পুলিশ তাদের কাজ করবে। তবে এ বার স্থানীয় থানার দায়িত্ব যিনি পেয়েছেন তাঁর উপর আমাদের আস্থা রয়েছে।”
মাঠপুকুরের ওই ঘটনার জেরে প্রগতি ময়দান থানার ওসি ইন্দ্রনীল চৌধুরীকে ট্রাফিক বিভাগে বদলি করা হয়েছে। সেখানকার অতিরিক্ত ওসি দেবাশিস চক্রবর্তীকে আপাতত ওই থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ট্যাংরা এলাকার দেবেন্দ্র চন্দ্র দে রোডে শম্ভুনাথ কাওয়ের বাড়িতে অবশ্য কারও সঙ্গে কথা বলা যায়নি। তাঁর পড়শিরা জানিয়েছেন, রাজনৈতিক কোনও কারণে ফাঁসানো হয়েছে তৃণমূলের ওই কাউন্সিলরকে।
অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা রুখতে ওই দুটি এলাকাতেই পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
|