হুল্লোড়
সুরের আকাশে বেসুরো ধুন
সুরকাররা বলছেন তাঁরাই সর্বেসর্বা। গায়কদের আর সে ভাবে কোনও দাম নেই। নিজেদের সুর করা গান নিজেরাই গাইছেন এটা নিয়ে গায়কদের এত নালিশ কীসের? প্রয়োজন হলে গায়করা নিজেরাই সুর দিতে শুরু করুন না! সৌজন্য আনন্দplus-এর গত দু’সপ্তাহের সাক্ষাৎকার: প্রীতম চক্রবর্তী ও জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
এই সব কথা অবশ্যই গায়কদের কাছে খুব শ্রুতিমধুর নয়। বলছেন ভাল গান তৈরি হচ্ছে কি? গায়কদের মান-অভিমানের গল্পে আড়ি পাতল আনন্দplus
বিতর্ক: গায়ক বনাম সঙ্গীত পরিচালক
অভিজিৎ
ভারতে সুরকাররা হল ঠিকাদার

আমাকে কলকাতার সুরকাররা কী বলেছেন সেটা দয়া করে বলবেন না। আমি কী বাজেট থাকলে গান গাই, সেটা আগে জানা দরকার। সেটা না থাকলে আমি গাইবই না। তাই কলকাতাতে কোন সুরকার কী বলল তাতে আমার কিছু আসে যায় না। আমি তাদের মতামত নিয়ে ভেবে সময়ও নষ্ট করতে চাই না। আর মুম্বইয়ের ‘সুরকার’? ওদের তো সুরকার বলাই উচিত হবে না। ওরা হল ভাড়া করা ঠিকাদার। প্রযোজক বলল ‘অ্যায়সা মিউজিক চাহিয়ে’, ওরা সেটাই করে দিল। ভাল গান সুর দিতে জানে না কি ওরা, যে ওদের ভাল গায়ক লাগবে?
অর্ধেক তো গান টুকছে। আমাদের মতো গায়কদের দিয়ে গাওয়াতে গেলে তো ওদের সে রকম গান বানাতে হবে। সেটার ক্ষমতা আছে কি? আসল সুরকারদের জমানা শেষ।
আজকালকার জমানাতে তো পাঁচটা গান থাকলে ছ’জন সুরকার লাগে। তা হলেই বুঝতে পারছেন সুরকারদের কী হাল! প্রত্যেকটা গান আবার আট জনকে দিয়ে গাওয়াবে। তার পর প্রযোজক বলবে কার গলাটা থাকবে আর কারটা থাকবে না। শঙ্কর-এহেসান-লয়কেই দেখুন। গত দু’বছরে দু’টো কী তিনটে ছবির মিউজিক করেছেন, তাও তিনজন মিলে!
ওই যে বললাম সুরকাররা শুধু ভাড়া করা ঠিকাদার। কাউকে প্রযোজক বলছেন ফ্লোরিংটা করতে। কাউকে বলছেন ইলেকট্রিকের কাজটা করো। আর এর পরেও ওঁরা যদি বলেন যে বলিউডে সুরকাররাই সব আর গায়কদের তেমন জায়গা নেই। তা হলে এর চেয়ে বেশি হাস্যকর কথা আর কিছু হয় না।

কুমার শানু
কিছু গায়ক সুরকারদের পয়সা দেয় যাতে ছবিতে তাদের গান থাকে

যে সব সুরকার এই ধরনের কথা বলছে তাদের গান সম্বন্ধে কোনও জ্ঞান আছে কি? সত্যি কথা হল এখন সে রকম গান তারা বানাতে পারছে না। আজকাল যে গান বানানো হচ্ছে তাতে সুর কোথায়? এমনকী কোনও ঠেলাওয়ালা যার হয়তো সঙ্গীতের কোনও চর্চা নেই, সেও আজকে একটা সিনেমার গান গেয়ে দিতে পারবে। আর সেটাও যদি না পায় তো সুরকাররা নিজেরাই গান গেয়ে দেবে।
ভাল ভাল কম্পোজিশন করতে জানলে তবেই তো সুরকারদের ভাল গায়কের প্রয়োজন। এখন সুরকাররা সস্তার রাস্তা ধরে নিয়েছে। ওদের ধারণা আজকাল ‘নাচানাচি’টাই দরকার। এখনকার গান দেখুন। ‘বারা মাহিনে মে বারা তরিখে সে’- এটা গেয়ে আমি সমাজকে কী দেব? ‘মুন্নি’ আর ‘শীলা’ গেয়ে আমি কী রেখে যাব? দশ বছর পরে কি আর এই গানগুলো থাকবে? পারবে ওরা ‘কুছ না কহো’র মতো একটা এভারগ্রিন গান বানাতে?
যেটা বলতে চাইছি সেটা হল ভাল গান তৈরি হলে আমাদের প্রয়োজন ঠিকই থাকবে। তবে দুঃখের ব্যাপার যে সুরকারদের সেই সাহসটাই আর নেই। যদিও একটা ভাল গান তৈরি হয় জোর দিয়ে যে বলবে, সেটা যেন শেষ পর্যন্ত ছবিতে থাকে। এই স্বাধীনতাটা প্রযোজক তাদের দেয় না। একটা সিডি ফেলে দিয়ে বলবে, আমাকে কিছু চ্যাংড়া গান দাও।
এই সব সুরকারের কোনও গাটস নেই এটা বলার যে এই গায়ককে দিয়েই গানটা গাওয়াব। তারা আর বলতে পারে না যে ‘যব কোই বাত বিগড় যায়ে’ বা ‘কুছ না কহো’ গানটা যেন ছবিতে থাকে। সেটা যে মুহূর্তে একজন সুরকার করবে, সে জানে তাকেই সেই সিনেমা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হবে।
আর গায়করাও তেমন। আমরা সিনেমাতে গান গাইবার জন্য পয়সা নিতাম। আর এখন তো শুনি বকলমে কিছু গায়ক সুরকারদের পয়সা দেয় যাতে ছবিতে তাদের গান থাকে। গায়করা আজকাল গাড়িও উপহার দেয়! সঙ্গীতের মানগত এবং নীতিগত দুটি দিকই জলাঞ্জলি গিয়েছে।
কোনও গান কখনওই ওয়ান ম্যান শো হয় না। গায়ক, গীতিকার, সুরকার সবাই মিলে একটা গান তৈরি করে। এখন অবশ্য তার সঙ্গে লাগে সিক্স ভায়োলিন-এর পাবলিসিটি। কোনও সুরকার যদি ভাবেন বা বলেন তার একার জন্যই সব হচ্ছে তার মতো মূর্খ আর অশিক্ষিত আর কেউ হয় না।

শান
আজ যত নির্লজ্জ ভাবে নিজের প্রচার করবেন, ততই সফল হবেন

সুরকার হলেন এক জন শিল্পীর মতো। আর গায়ক হলেন তাঁর রং। গান অবশ্যই জরুরি। তবে ঠিক গলা পাওয়াটা ততটাই প্রয়োজনীয়। আগেকার দিনে একটা গান ভাল হতে গেলে দরকার হত ভাল সুর, কথা আর একটা এমন গলা যেটা গানের ভাবটাকে ভাল করে প্রকাশ করতে পারবে।
তবে বর্তমানে সব হিসেবগুলো পালটে গিয়েছে। আজ একটা গান শুধুমাত্র বিটস আর ভাল অ্যারেঞ্জমেন্টের উপর ভীষণ ভাবে নির্ভরশীল। সেই কারণেই বেশির ভাগ সুরকারই আসলে আজকাল ভাল প্রোগ্রামার বা সাউন্ড ডিজাইনার। তাদের লক্ষ্য হল কী ভাবে একটা ‘সাউন্ডস্কেপ’ তৈরি করবে! তাই ‘টেক্সচার’ বলে একটা কথা আজকাল বেশি শোনা যায়। প্রচুর মেশিন বেরিয়ে গিয়েছে যা দিয়ে যে কোনও মানুষকে গাওয়ালেই সেটা শুনতে বেশ ঠিকঠাক লাগবে। কোনও প্রযোজককে গানটা বানানোর আগেই সব ত্রুটি ঠিক করে পুরো ট্র্যাকটা বানিয়ে শোনানো হচ্ছে। তাই প্রযোজক যখন শুনছেন তখন নিখুঁত গান শুনছেন। তাই ভাল গায়ক গাইল, না কম্পিউটার-এ যে কোনও কারওর গলা কারেক্ট করে গাওয়ানো হল, সেটা নিয়ে মাথাব্যথা নেই।
এ ছাড়া এ সব গান তো বানানো হয় এক মাস সিনেমা প্রোমোশন-এর জন্য। ছবি চলে গেলেই গান তো শেষ হয়ে যায়।
সবাই শুধু ট্রেন্ড বোঝে। যে গায়কের ট্রেন্ড চলছে তখন তাকে দিয়েই গাওয়াও। এই যে দেখুন রিয়্যালিটি শোগুলো। সব প্রতিযোগীকে দেখি কী সহজে নুসরত ফতে আলি খানের গানগুলো গেয়ে ফেলছে। অথচ ওরা কিন্তু কিশোর কুমারের গান গাইতে পারে না। এটা বেশ আশ্চর্যের ঘটনা, তাই না?
আজ যদি কেউ আমাকে জিজ্ঞেস করে যে রেওয়াজ করে কি বলিউডে প্লে ব্যাক করা যাবে, আমি তাকে কী উত্তর দেব? আমি তাকে বলতে চাইব যে হ্যাঁ, নিশ্চয়ই যাবে। তুমি রেওয়াজ করো। কিন্তু আমি নিজে জানি, যে সব টেকনোলজি বেরিয়েছে তাতে ও সবের আর অতটা মূল্য দেওয়া হচ্ছে না।
কানে লাগে এমন ফ্রিকোয়েন্সিতে গান হয়। তবু সেটাই লোকের পছন্দের। আর লোকের পছন্দ হলে আমি শুধু শুধু এই সব কথা বলে কী করব! বেশি বললে আবার উল্টো চাপ। লোকে বলবে ওর তো অনেক ফ্রাস্ট্রেশন তাই এসব কথা বলছে। বা বেশি নোট নিয়ে কথা বললে, বলবে ওর বেশি অ্যাটিটিউড। বা খুব বেশি ইগো। আমার একটাই পলিসি। যখন দেখবেন চারপাশ ভীষণ নোংরা, মাথাটা নামিয়ে রাখাই ভাল। ‘আইদার ইউ জয়েন দ্য ক্র্যাব ফেস্ট অর লাই লো’।
যাঁরা শ্রোতা তাঁরাও কি সত্যি সত্যি সঙ্গীত ভালবাসেন? তা হলে তো তাঁরা অনেক দিন আগেই এই সব গান বাতিলের দলে ফেলে দিতেন। যে গানে বিশ্রী কথা রয়েছে, সেগুলো তো কেউ বাতিল করেননি। আর বাচ্চারা কী শিখছে? তাদের মুখে মুখে আজ এই সব গান। আমি যদি বলতে চাই তা হলে উল্টে বলবে, “ইউ আর সো আনকুল।”
আজকাল মিউজিক হল টাইমপাস। বর্তমানে একটা গান কত লোকে শুনছে তার বিচার করার জায়গা হল ইউটিউব হিটস। আমি যদি একটা সেক্সি মেয়ের ছবি লাগিয়ে আপলোড করে বলি ‘শান’স সেক্সিয়েস্ট নাম্বার’, দেখুন তো কত হিট হয়! আর তার সঙ্গে দেখুন আমারই একটা সুন্দর ক্ল্যাসিকাল গান আপলোড করে। আমি হলফ করে বলতে পারি যে ওই ‘শান’স সেক্সিয়েস্ট নাম্বার’টাই বেশি ইউটিউব হিট পাবে। তার মানে কি ঠিক বিচার হল?
ভাগ্যিস সুরকাররা একটু দেরিতে বুঝেছেন যে তাঁদেরই গান গাওয়া উচিত। আগে বুঝলে তো আমার খেলা শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে যাবে!
আসলে আজকের জমানাতে যত নির্লজ্জ ভাবে নিজেকে প্রচার করতে পারবেন, ততই আপনি সফল হবেন। তবে আমি আশা ছাড়িনি। একদিন এ সব কিছুতে ক্লান্তি আসবে। মানুষ তখন ভাল সুর খুঁজবেনই। আর তার সঙ্গে ভাল গায়কও। তাই বাচ্চাদের আজও বলব, রেওয়াজ করো। সুরে গাও। যদি দিন ফেরে তো ডাক পাবেই।

কুণাল গাঞ্জাওয়ালা


যে সব সুরকার বলছে গায়কদের কোনও গুরুত্ব নেই, তারা নিজেরাই আবার সেই গানগুলো সিনেমায় গাইছে। অথবা সেই গানগুলো গাওয়ানোর জন্য পাকিস্তান থেকে গায়কদের নিয়ে আসছে। এটার মানে তা হলে কী দাঁড়ায়? ‘দু নৌকায় পা দিয়ে চলা’, না কি স্রেফ ভণ্ডামি? এই সব কথা বলে ওরা নিজেদেরকেই বোকা বানাচ্ছে। সত্যি বলতে এই সুরকাররা আসলে খুব হিংসুটে। এত দিন গায়করা যে খ্যাতি বা সম্মান পেয়ে এসেছে, এরাও সেই উচ্চতাটায় পৌঁছতে চায়। এটা সময়েরই একটা অভিশাপ। ওরা মনে করে সব ক্রেডিটটাই যাচ্ছে গায়কদের ঝুলিতে। আর ওরা ওদের প্রাপ্য জায়গাটুকু পাচ্ছে না।
গায়কদের দোষারোপ করে কী হবে? একটা গান নিয়ে আমরা যে পরিমাণ পরিশ্রম করি, সেটাকে খাটো করে দেখিয়ে লাভ কোথায়? লতাজি যখন তাঁর অবিস্মরণীয় গানগুলি গেয়েছিলেন, আমরা কি কোনও অংশে ওঁকে ছোট করে দেখেছিলাম! গানগুলোর সঙ্গে লতাজিকেও মনে রেখেছি আমরা। মহম্মদ রফিই হোন বা কিশোর কুমার, ব্যাপারটা একই।
‘মসক্কলি’ গানটা গাওয়ার সময় মোহিত চহ্বাণ যে বিশেষ টাচ্টা দিয়ে গেয়েছিল, তার কৃতিত্বটা কি ওঁর থেকে কেউ কেড়ে নিতে পারবে? আমি সঞ্জয় লীলা বনশালীর সিনেমায় যে গানগুলো গেয়েছি, সেটার কৃতিত্বও কি কেউ আমার থেকে কেড়ে নিতে পারে!
এক বার আমি এক পরিচালককে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তাঁর সিনেমায় মুখ্য অভিনেতাদের জায়গায় তিনি নিজে কেন অভিনয় করেন না? তিনি হেসে বলেছিলেন, “আমরা চিত্রনাট্য বুঝি, জানি। কিন্তু অভিনয় করতে গেলে তো দক্ষতার প্রয়োজন। আর দক্ষ অভিনেতারাই সেটা করতে পারে!” তখন আমি জিজ্ঞেস করি যদি তিনি প্রধান চরিত্রে অভিনয় না করতে পারেন তা হলে কী ভাবে সঙ্গীত পরিচালকেরা তাদের সুর করা সব গান গাইতে পারে? একটা হাসির সঙ্গে তাঁর উত্তর ছিল, “সঙ্গীত পরিচালকরা তাঁদের তৈরি গান সব চেয়ে ভাল বোঝেন এটাই আমরা বিশ্বাস করি। নানা জিনিস নিয়ে ব্যস্ত থাকি যে কখনও কখনও রেকর্ডিং-এ যাওয়ার সময়টুকুও পাই না।”
প্রায়ই সঙ্গীত পরিচালকরা বিভিন্ন গায়ককে দিয়ে একই গানের চারটে সংস্করণ গাওয়ান। তার পর যখন পরিচালক সেই গানগুলো সম্পর্কে তাদের মতামত জানতে চান, তখন তারা বলে, “ঠিক বুঝতে পারছি না।” পরে নিজে গাওয়ার প্রস্তাব দেন এবং শেষ মুহূর্তে দেখা যায় তাঁর গানটাই সিনেমায় ব্যবহৃত হচ্ছে।
আমি তখন পরিচালকের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কেন তিনি পাঁচ জন আলাদা আলাদা অভিনেতাকে নিয়ে শ্যুট করে ঠিক করে নেন না কাকে শেষমেশ নেবেন? গায়কদের সঙ্গে যদি এ রকম হতে পারে তবে অভিনেতারাই বাদ যান কেন!
এক বার এয়ারপোর্টে এক সঙ্গীত পরিচালক কোথায় যাচ্ছি জানতে চায়। বলেছিলাম শো-তে যাচ্ছি। এমন ভাব করল যেন আমি শো করতেই পারি না! আমি যা করতে পারি, তা তুমি কোন হিসেবে আমার থেকে কেড়ে নিচ্ছ!
খুব তাড়াতাড়িই এমন দিন আসবে যখন আমরা নিজেরাই গান তৈরি করব। এমনকী সঙ্গীত পরিচালকদেরও আর দরকার পড়বে না। শান এটা করে ফেলেছে। বাবুল, সোনুরাও করেছে। আমিও করেছি। মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি ভবিষ্যতে কী ভাবে চলবে সেটার জন্য এটা একটা মডেল হয়ে থাকবে।


আজকাল সফল গায়ক হতে গেলে ভাল গলা দরকার হয় না

এটা সত্যি যে আজকাল বলিউডে সঙ্গীত পরিচালকদেরই রাজত্ব। গায়কদের নয়। সফল গায়ক হওয়ার জন্য আর ভাল গায়ক হওয়ার দরকার নেই। যে কেউ একটা গান গেয়ে দিতে পারে আজকাল। কারণ? সিঙ্গিং এড সফটওয়্যারস। যেমন আন্তারেস আর মেলোডাইন। এক সময় বলা হত সুর হল ঈশ্বর। এখন একটা নিখুঁত সুর সব দিক থেকেই পাওয়া যায়। যদি কন্ঠস্বর গানের প্রয়োজনের সঙ্গে মিলে যায়, বাকিটা একেবারে সহজ ভাবে করা সম্ভব। আমি নিজেও এমন অনেক গান পছন্দ করি। হয়তো সেই গায়কদের পছন্দ না করলেও গানগুলো আমার ভালই লাগে। তাই আমি অভিযোগ জানানোর জন্য এক মুহূর্ত সময় ব্যয় করতে রাজি নই।
সিনেমার গানে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। শুধু সুন্দর গায়কি আর ভাল গায়কদের থেকে অনেক এগিয়ে গিয়েছে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি। আর এ সবের জন্য ভাল গায়ক বা তথাকথিত প্লে-ব্যাক গায়কদের ক্ষতি হয়েছে। আমার মনে হয় শুধুমাত্র সুরকারদের দোষারোপ করলে চলবে না। বিশ্বাস করি না যে তাদের কোনও এজেন্ডা বা রাগ আছে ভাল গায়কদের বিরুদ্ধে।
এটা একটা ট্রেন্ড। কিছু দিন চলবে। মনে হয় না এই ট্রেন্ডটা গায়কদের ভালর জন্য রাতারাতি পালটে যাবে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.