ধর্মঘটে কাজ করার বিনিময়ে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি ‘পুরস্কার’ দেওয়ার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে প্রত্যাশিত ভাবেই প্রশ্ন তুলল বিরোধীরা। তাদের প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী যদি কর্মসংস্কৃতি ফেরানোর জন্যই বনধ-ধর্মঘট তুলে দিতে চান, তা হলে ওই সব দিনে কাজ করার জন্য কর্মীদের বাড়তি ছুটি দিয়ে অন্য কর্মদিবস
নষ্ট করবেন কেন?
বুধবার যে সমস্ত সরকারি কর্মচারী কাজে যোগ দেন, তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মহাকরণে বলেন, “যে হেতু তাঁরা এই দিনগুলি কাজ করছেন, কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে সাহায্য করছেন, তাই সরকারও মানবিক। তাঁদের জন্য আমরাও চিন্তাভাবনা করছি। গত বার পুজোয় যেমন একটানা ৮-১০ দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে, এ বারের পুজোতেও পরিকল্পনা করে সেই প্যাকেজ দেওয়া হবে।” মুখ্যমন্ত্রীর ওই ‘পুরস্কার’-এর ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাম নেতৃত্ব। সিটুর রাজ্য সভাপতি শ্যামল চক্রবর্তীর বক্তব্য, “ধর্মঘটে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা বলা হচ্ছে। ছুটি দিলে উৎপাদন ব্যাহত হয় না? কর্মসংস্কৃতি ১০০% ভাল করে দিয়েছেন বলে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন। ছুটি দিলে কি খুব ভাল কর্মসংস্কৃতির উদাহরণ হয়?” সিটুর প্রবীণ নেতা কালী ঘোষের প্রশ্ন, “ছুটির কথা বলে উনি কি শ্রমিকদের ঘুষ দিতে চান?” বস্তুত, কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে মুখ্যমন্ত্রীর ধর্মঘট-বিরোধী পদক্ষেপ এবং ধর্মঘটে কাজে যোগদানকারীদের অন্য দিন ছুটি দেওয়ার ঘোষণার মধ্যে স্ববিরোধিতা খুঁজে পাচ্ছে বিরোধী দলগুলি। এ দিন মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এ রাজ্যে বনধের নাম করে যে অপসংস্কৃতি চলেছে, তা শুধু ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাওয়া। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে আমি কিন্তু আজকে দেখেছি, প্রচুর মানুষ রাস্তায় বেরিয়েছে। রাইটার্স বিল্ডিংয়ের অনেক দফতরে একশো শতাংশ হাজিরা ছিল। কোনও কোনও দফতরে কেউ কেউ আগে থেকেই অনুপস্থিত ছিলেন, সেই সব দফতরেও ৯৭-৯৮% হাজিরা ছিল।” |