|
|
|
|
মেয়ের পছন্দে আপত্তি |
জামাইয়ের আত্মীয় পরিজনদের মারধর তৃণমূল নেতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
বাড়ি থেকে পালিয়ে পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করেছে মেয়ে। তা মানতে না পেরে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে লোকজন নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে ঘাটাল ব্লকের মনসুকায়। কিঙ্কর পণ্ডিত নামে ওই তৃণমূল নেতার হামলায় জখম হয়েছেন ছেলের বাবা-মা ও এক অন্তঃসত্ত্বা আত্মীয়া-সহ মোট আট জন। এখনও নিখোঁজ ছেলের কাকা রবীন্দ্রনাথ ছাতিক। ছেলের বাড়ির তরফে ঘাটাল থানায় ঘটনার লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।
কিঙ্করবাবু তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সদস্য এবং অঞ্চল তফসিলি সেলের সভাপতি। ফলে, এই ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের ঘাটাল ব্লকের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ মাঝি বলেন, “ঘটনাটি নিন্দনীয়। আইন আইনের পথে চলবে।” ঘাটাল থানার ওসি বিশ্বরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।”
মনসুকার কাঠ ব্যবসায়ী প্রসেনজিৎ ছাতিকের সঙ্গে এমএ পাঠরতা রাত্রি পণ্ডিতের দীর্ঘ দিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত রবিবার কলকাতায় টিউশনে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরোন রাত্রি। ওই দিনই প্রসেনজিতের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তবে নবদম্পতি ঘাটালে ফেরেননি। মেয়ের বিয়ের কথা জানতে পেরে খেপে ওঠেন কিঙ্করবাবু। রবিবারই দলের লোকজন নিয়ে প্রসেনজিৎদের বাড়িতে চড়াও হন ওই তৃণমূল নেতা। হুমকি দিয়ে আসেন। তারপর মেয়ের সন্ধানে নানা জায়গায় ঘুরে বেরিয়েছেন তিনি। খোঁজ না পেয়ে রাগ সপ্তমে ওঠে। মঙ্গলবার ফের কিঙ্করবাবু সদলবলে হামলা চালান প্রসেনজিৎদের বাড়িতে। প্রসেনজিতের বাবা সুকুমার ছাতিক, ভাই দশরথ, কাকা রবীন্দ্রনাথ, কাকিমা কল্পনাদেবীকে মারধর করা হয়। রেয়াত করা হয়নি প্রসেনজিতের অন্তঃসত্ত্বা আত্মীয়া কাকলি আদককেও। জখমদের চিকিৎসা চলছে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে প্রসেনজিতের বাবা সুকুমারবাবু হাসপাতালের বেডে শুয়ে জানান, “রবিবার থেকেই মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চলছে। বাড়ি ভাঙচুর-সহ আসবাবপত্র লুঠ এবং মারধর করা হয়েছে আমাদের। হামলা থেকে বাদ পড়েননি আত্মীয়রাও।” বাবার আচরণে ক্ষুব্ধ রাত্রিও। ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমরা নিজেদের ইচ্ছায় বিয়ে করেছি। শুনেছি, বাবা আমার শ্বশুরবাড়িতে হামলা চালাচ্ছে। এই ঘটনা চলতে থাকলে নিজে বাবার বিরুদ্ধে থানায় যাব।” |
|
|
|
|
|