চন্দননগরের রানিঘাটে সিটুর একটি কার্যালয়ে ভাঙচুর ও সিপিএমের পতাকা পোড়ানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, চন্দননগরের বিধায়ক অশোক সাউ ও তাঁর ছেলে ছাত্র নেতা শুভজিৎ সাউয়ের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় মিছিল বার করে সিপিএম। এই বিষয়ে চন্দননগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন চন্দননগরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক শিবপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায় (রতন)। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। সকালে বৈদ্যবাটি রেলগেটে অবরোধ করে বনধ্ সমর্থকেরা। চলে ১৫ মিনিট। পুলিশ গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। ঘটনাস্থল থেকে ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। জেলার সব সরকারি দফতর খোলা ছিল। মহকুমা ও ব্লক অফিসে হাজিরা ছিল ৯০ শতাংশের উপর। ট্রেন চলাচল ছিল মোটের উপরে স্বাভাবিক। তবে সরকারি ও বেসরকারি বাসের দেখা পাওয়া যায়নি। হাতেগোনা কয়েকটি অটো চলেছে। কলকারখানা খোলা ছিল। কোথাও কোথাও কাজও হয়েছে। শ্রীরামপুর ও ডানকুনি, ভদ্রেশ্বর, বলাগড় শিল্পাঞ্চলে সর্বত্রই কলকারখানা খোলা ছিল। কোথাও কোথাও উৎপাদন হয়েছে। তবে উপস্থিতির খুব ভাল ছিল না। শ্রীরামপুর মহকুমাশাসকের দফতরে মোট কর্মী সংখ্যা ৯৭ জন। এ দিন অনুপস্থিত ছিলেন ১০ জন। যদিও ৮ জনের আগে থেকেই ছুটি নেওয়া ছিল বলে প্রশাসন জানায়। স্বাভাবিক ছিল তারকেশ্বর ও আরামবাগ। আরামবাগে দুরপাল্লার বাস ছাড়া বাকি পরিবহণ ছিল মোটামুটি স্বাভাবিক। আরামবাগের সরকারি দফতরগুলিতে হাজিরা গড়ে ৯৭ শতাংশ বলে জানান মহকুমাশাসক। তবে, জেলার পেট্রোল পাম্পগুলির প্রায় সবই বন্ধ ছিল। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে দু’তিনটি পাম্প খোলা হয়। গণ্ডগোলের অভিযোগে ৩০ জনকে ধরে পুলিশ।
|
দক্ষিণ পূর্ব রেলের হাওড়া-খড়গপুর বিভাগের লোকাল ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ছিল। তবে যাত্রী সংখ্যা ছিল বেশ কম। সরকারি বাস চললেও বেসরকারি বাস প্রায় ছিল না। প্রশাসন সূত্রে খবর, উলুবেড়িয়া মহকুমার প্রতিটি সরকারি দফতরেই প্রায় ১০০ শতাংশ হাজিরা ছিল। তবে সরকারি দফতরে সাধারণ মানুষ তেমন চোখে পড়েনি। বেশ কিছু স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপস্থিত থাকলেও ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল খুব কম। বেশ কিছু স্কুলে শিক্ষকদের ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট খেলে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে। শ্যামপুরের তেওড়া হাইস্কুল খোলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা যায়। প্রথম ওই স্কুল তালা বন্ধ ছিল। পরে পুলিশ গিয়ে স্কুলের তালা ভাঙে। পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে তালা বন্ধ দেখে পুলিশে জানায়। ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের উপস্থিতিতেই স্কুলের তালা ভাঙে পুলিশ। উলুবেড়িয়া শিল্পাঞ্চলের জুটমিলগুলি বন্ধ ছিল। জেলার কোথাও কোনও বড় গণ্ডগোলের খবর নেই। বনধের দিন সকালে উলুবেড়িয়ার কালীনগর এলাকায় মাধবপুর-বোয়ালিয়া রুটের মিনিবাসে ইট ছোড়ে বনধ সমর্থকেরা। বাসের কাচ ভাঙে। পুলিশ বাসটিকে থানায় নিয়ে এসেছে।
|
উলুবেড়িয়ায় নানা অনুষ্ঠান |
তিন দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল হাওড়ার উলুবেড়িয়ায়। গত ১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি উলুবেড়িয়া খড়িয়া দক্ষিণপাড়া কিশোর সঙ্ঘের উদ্যোগে ক্লাব প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক পুলক রায়। বিশেষ অতিথি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী ও লোকশিল্পী সঙ্ঘের হাওড়া জেলার সম্পাদক তপন সেন। নাচ, গান, আবৃত্তি, স্বরচিত কবিতা পাঠে আসর ছিল জমজমাট। অনুষ্ঠানে দুঃস্থ ব্যক্তিদের বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
|
তিন দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা হয়ে গেল জগৎবল্লভপুরে। মুন্সিরহাটে ক্লাব প্রাঙ্গনে নরেন্দ্রপুর শক্তিসঙ্ঘের উদ্যোগে গত ১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি ছিল গান, নাচ, আবৃত্তি, অঙ্কন ইত্যাদি বিভিন্ন প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের খাতা-বই-পেনসিল বিতরণ করা হয়।
|
একটি মোটর বাইকের শো-রুমের জানলা ভেঙে নগদ টাকা ও মোটর বাইকের যন্ত্রাংশ চুরি করল দুষ্কৃতীরা। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের সন্তোষপুর পঞ্চায়েতের ভীমপুর গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শো-রুমের জানলার রড বেকিয়ে ও পাল্লা ভেঙে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢোকে। নগদ ও যন্ত্রাংশ মিলিয়ে লক্ষাধিক টাকা চুরি গিয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছেন ওই শো-রুমের মালিক। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কেউ গ্রেফতার হয়নি।
|
স্কুলের দরজার তালা ভেঙে দরকারি নথিপত্র চুরির চেষ্টা করল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে মগরা থানার কুন্তীঘাট বিষপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীরা স্কুলে এসে দেখেন দরজার তালা ভাঙা। ঘরের ভিতরে কাগজপত্র তছনছ হয়ে রয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিব্যেন্দু নারায়ণ বসু থানায় স্কুলের নথিপত্র তছনছের অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
|
তিন দিনের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হল হাওড়ার পাঁচলায়। গত ১৫-১৭ ফেব্রুয়ারি পাঁচলা জুজারসাহা সিংহবাহিনী বাণী সঙ্ঘের উদ্যোগে ক্লাব প্রাঙ্গণে হয় এই অনুষ্ঠান। পরিচালনা করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিকার পুলক সামন্ত। অনুষ্ঠানে ছিল বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। প্রতিবন্ধী সম্মিলনী উপলক্ষে দুঃস্থ প্রতিবন্ধী ছাত্রছাত্রীদের খাতা-বই-পেনসিল বিতরণ করা হয়। |