প্রশিক্ষিত কেএলও জঙ্গি ধৃত |
অসম থেকে শিলিগুড়ির দিকে যাওয়ার পথে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এক কেএলও জঙ্গিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সোমবার সন্ধ্যায় কুমারগ্রামের কামাখ্যাগুড়ি রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে ওই জঙ্গিকে ধরা হয়। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম প্রদীপ রায় ওরফে রঘু। অসমের গোসাইগাঁওয়ের প্রদীপের থেকে ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা, দুটি মোবাইল, ১১টি সিম কার্ড ও একটি হাতে আঁকা ম্যাপ উদ্ধার হয়েছে। এ দিন তাকে আলিপুরদুয়ার আদালতে তোলা হলে পুলিশ সাত দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেয়।
জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “প্রদীপ ছয় মাস কেএলও ক্যাম্পে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। সে কম্পিউটারে কাজ করতে জানে। অসম থেকে শিলিগুড়িতে যাওয়ার জন্য কামাখ্যাগুড়ির এক বাড়িতে আশ্রয় নেয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওকে ধরা হয়।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জামিনে থাকা কেএলও-র প্রথম সারির জঙ্গি টম ওরফে জয়দেব দাস, মালখান সিংহ ওরফে মাধব মন্ডল, নারায়ণ রায় ওরফে তরুণ থাপা, প্রদীপ রায় ওরফে ইকবাল সিদ্দিকি গত বছর জুলাই মাস নাগাদ আত্মগোপন করে। সংগঠনের সুপ্রিমো জীবন সিংহের সঙ্গে দেখা করে ওই জঙ্গিরা ফের সংগঠন চাঙ্গা করার জন্য অসমের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াতে শুরু করেছে। পুলিশ কর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি কোচবিহারের বক্সিরহাটে উত্তম বর্মন নামে এক কেএলও জঙ্গি ধরা পড়ে। সোমবার আরও এক জঙ্গি ধরা পড়ায় এলাকায় জীবন সিংহ যে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে সেটা ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। তদন্তে পুলিশ জেনেছে, নেপালের অস্ত্র ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কেএলও জঙ্গিরা যোগাযোগ গড়ে তুলেছে। প্রদীপ টাকা নিয়ে শিলিগুড়ি হয়ে নেপালে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল কি না সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। জেলা পুলিশ সুপার বলেন, “ধৃত জঙ্গি টাকা নিয়ে নেপাল থেকে অস্ত্র কিনতে যাচ্ছিল কিনা সেটা জানা যায়নি। অসম পুলিশ ওকে জেরা করার পরে বিষয়টি স্পষ্ট হবে।” এ দিকে নজরদারি বাড়াতে দেড়শো জন বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পুলিশকে অসম সংলগ্ন এলাকায় মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। |