নিজস্ব সংবাদদাতা • শামুকতলা |
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে ৬২ জন প্রাথমিক শিক্ষককে শোকজ করলেন বিদ্যালয় পরিদর্শক। আলিপুরদুয়ার-২ ব্লকের ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত শুক্রবার ওই শিক্ষকরা শোকজের চিঠি হাতে পেয়েছেন। তাঁদের পাঁচ দিনের মধ্যে উত্তর দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক পার্থসারথী রায় বলেন, “আগে শিক্ষকদের প্রত্যেককে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উপস্থিত থাকবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল উপস্থিত না থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই যারা নির্দেশ মানেননি তাদের শোকজ করা হয়েছে।”
বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ার উত্তর মন্ডলের এবং ৮ জানুয়ারি ষষ্ঠ মন্ডলের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হয় কামারপাড়া ও শামুকতলায়। অভিযোগ, উত্তর মন্ডলের ৩৮ জন এবং ষষ্ঠ মন্ডলের ২৪ জন শিক্ষক কোনও কারণ না দেখিয়ে অনুপস্থিত ছিলেন। যদিও আগাম নির্দেশ ছিল প্রত্যেক শিক্ষককে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উপস্থিত থাকতে হবে। নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতা পীযূষ সরকার অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উপস্থিত থাকার পরেও পরিদর্শক বেছে আমাদের সংগঠনের শিক্ষকদের শোকজ করেছেন।”
যে শিক্ষকদের শোকজ করা হয়েছে তাঁরা জানান, প্রতিযোগিতায় উপস্থিত থাকলেও খাতায় সই করেননি। তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে। যদিও স্কুল পরিদর্শকের দফতরের কর্তারা প্রশ্ন তুলেছেন, খাতায় সই না থাকলে কেমন করে প্রমান হবে ওই শিক্ষকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন! তাঁদের একাংশের অভিযোগ, অনেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফাঁকিবাজির অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও বিশেষ সংগঠনের সদস্য শিক্ষকদের শোকজ করার যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন। ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উপস্থিত না থাকার জন্য একসাথে এত জন শিক্ষকশিক্ষিকাকে শো-কজ করবার এমন ঘটনা এই প্রথম। শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশ এই সিদ্ধান্তের জন্য অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে সাধুবাদ জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন শিক্ষক জানিয়েছেন, শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশের ফাঁকিবাজির জন্য প্রাথমিক শিক্ষার এমন হাল। স্কুলে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকে এমন ফাঁকিবাজি চালিয়ে যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে এমন পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। |