হলদিবাড়ি থেকে দার্জিলিং মেলের তিনটে কামরার চলাচল বন্ধ |
আন্দোলনে ক্রেতা সুরক্ষা সমিতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের উপভোক্তা কমিটির বৈঠকে হলদিবাড়ি থেকে দার্জিলিং মেলের তিনটে কামরার চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে বলে দাবি করে আন্দোলনের পথে যাচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলা ক্রেতা সুরক্ষা সমিতি। গত ৫ ফেব্রুয়ারি কাটিহারে রেলের উপভোক্তা কমিটির বৈঠকে ক্রেতা সুরক্ষা সমিতির সদস্য শুভ্রাংশু বারিক উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, বৈঠকেই রেলের কর্তারা জানিয়ে দেন, শীঘ্রই হলদিবাড়ি থেকে চলাচল করা দার্জিলিং মেলের ২টি স্লিপার কোচ এবং একটি এসি-থ্রি টায়ার কোচ তুলে নেওয়া হবে। এই তিনটে কোচ-সহ পুরো দার্জিলিং মেলটি এনজেপি থেকেই চলাচল করবে।
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার নাগরিক কনভেনশন করে আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা সমিতি। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার ডিভিশন ডিআরএম একে শর্মা বলেন, “এ বিষয়ে সরাসরি রেল রোর্ড সিদ্ধান্ত নেবেন। আমি কিছু বলতে পারব না। তত দিন দার্জিলিং মেল যেমন চলছে, চলবে।”
স্বাধীনতার আগে থেকে উত্তরবঙ্গ ও কলকাতার মধ্যে রেল যোগাযোগের অন্যতম প্রধান ট্রেন দার্জিলিং মেল। শুরু থেকেই হলদিবাড়ি হয়ে দার্জিলিং মেল চলাচল করে আসছে। বছর দশেক আগেও হলদিবাড়ি থেকে তিনটি কামরা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল। সে সময়েও জলপাইগুড়িতে সভা, বিক্ষোভ থেকে শুরু করে বন্ধও হয়। আন্দোলনের চাপেই রেল পিছিয়ে আসে। প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হলদিবাড়ি থেকে তিনটে কামরা এনজেপিতে যুক্ত হওয়ার পরে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং মেল শিয়ালদহের দিকে রওনা দেয়। আবার এনজেপিতে পৌঁছানোর পরে তিনটে কোচকে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের সঙ্গে জুড়ে হলদিবাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রেলের পরিভাষায় কোচগুলিকে স্লিপ কোচ বলা হয়। বেশ কিছুদিন ধরেই প্যাসেঞ্জার ট্রেন দেরিতে চলাচল করায়, এনজেপি থেকে দার্জিলিং মেল ছাড়তে দেরি হচ্ছে বলে রেল সূত্রে জানানো হয়েছে।
ক্রেতা সুরক্ষা সমিতির সদস্য শুভ্রাংশু বারিক বলেন, “বৈঠকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, দার্জিলিং মেলের তিনটি কোচ আর হলদিবাড়িতে পাঠানো হবে না। এই বিষয়ে আমরা তথ্য জানার অধিকারেও আবেদন করেছি।” সমিতির সম্পাদক অখিলবন্ধু সরকার বলেন, “এই ব্যবস্থা চালু রাখতেই হবে। নইলে জলপাইগুড়ি এবং লাগোয়া এলাকার সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।” |