কুকথায় ‘নাম’ কুড়িয়েছিলেন। এ বার রাজনৈতিক প্ররোচনা দেওয়ারও অভিযোগ উঠল খাদ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পর্যবেক্ষক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বক্তব্য ঘিরে।
মঙ্গলবার অশোকনগরে মাগুরখালি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের মাঠে দলের সভায় তিনি বলেন, “সিপিএম নেতারা গ্রামে সভা করতে এলে আমাদের দলের ২০-২৫ জন কর্মী সেখানে যান। গিয়ে ৩৫ বছরের কাজের হিসেব চান। দিতে না পারলে বলবেন, সেখান থেকে চলে যেতে।”
রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যের এই মন্তব্য ‘উসকানিমূলক’ বলেই নিন্দায় সরব হয়েছে জেলা সিপিএম। দলের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য তথা হাবরা জোনাল কমিটির সম্পাদক বাবুল কর বলেন, “ওরা যতই উসকানিমূলক কথা বলুক, আমরা রাজনীতির ভাষাতেই কথা বলব। ওদের পায়ের তলার মাটি সরছে।” দলের আর এক নেতার কথায়, “এর পরে যদি আমাদের সভায় এসে তৃণমূলের লোকজন গোলমাল পাকায়, তা হলে কে দায়ী থাকবে? কোনও রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এমন কথা বলতে পারেন, ভাবতেই পারছি না।” তবে কে কী ভাবল, তাতে থোড়াই কেয়ার খাদ্যমন্ত্রীর। এ দিনও স্বভাবসিদ্ধ ঢঙে সিপিএম নেতাদের উদ্দেশে কটূক্তি করেন তিনি। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসুর মন্তব্য টেনে এনে বলেন, “উনি বলছেন বাকসংযম করুন। কিন্তু তাঁদের নেতারাই কথা শুনছেন না।” ক’দিন আগে জ্যোতিপ্রিয়বাবুরই দলের নেতা তথা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ‘সংযত’ থাকার পরামর্শ দেন। তা অবশ্য সিপিএমের উদ্দেশেই ছিল বলে ব্যাখ্যা করেন জ্যোতিপ্রিয়। এ দিন কংগ্রেসেরও ‘লাগামছাড়া’ সমালোচনা করেন তিনি।
বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করে কৃষি প্রতিমন্ত্রী বেচারাম মান্না বলেন, “রাজ্যে উন্নয়নে ওরা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলবে। মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছি মানসিক হাসপাতালের সংখ্যা বাড়াতে।” রাজ্য রাজনীতিতে সাম্প্রতিক সময়ে কটূক্তি করে বিতর্কে জড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ও। এ দিন চোখা মন্তব্যে তিনিও বুঝিয়ে দিয়েছেন, সে সব বিতর্কের ধার ধারেন না। |