পারলে তিনি এখনই মাঠে নেমে পড়েন। ‘এল ক্লাসিকো’ নয়। কিন্তু বিশ্ব ফুটবলের সেরা আকর্ষণ হিসেবে ধরা হচ্ছে এই ম্যাচকে। এবং বুধবার রাতে বের্নাবউতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার আগে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের এক নম্বর তারকা ওয়েন রুনি জানিয়ে দিচ্ছেন, এমন মহাযুদ্ধের চাপ কী ভাবে নিতে হয়, তাঁর খুব ভালই জানা আছে। “এটা ঠিক যে এ রকম ম্যাচে নামতে হলে অনেকেই চাপে পড়ে যায়। কিন্তু স্নায়ুর চাপ কী ভাবে সামলাতে হয়, আমি জানি। আমি শুধু ম্যাচটা নিয়ে ভাবছি। ভাবছি, কী ভাবে নিজের সেরা পারফরম্যান্সটা করা যায়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেলছি অনেক দিন হল। এ সব ম্যাচে চাপ সামলে ম্যাচে মন দেওয়াটাই আসল,” মঙ্গলবার একটি ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলে দিয়েছেন রুনি।
ঘটনা হল, রিয়াল নাকি রুনিকে নিয়ে আবার আগেভাগেই ভয় পেতে শুরু করেছে!
স্পেনেরই একটি কাগজে এ দিন শিরোনাম বেরিয়েছে যে, ইংল্যান্ডের ‘দৈত্য’ ব্যারেলে বারুদ ঠেসে মাদ্রিদে আসছে। কোথাও আবার শিরোনাম: ‘দ্য ব্যাড বয় ইজ কামিং উইথ হিজ ফাইভ থাউজ্যান্ড ফ্রেন্ডস’। রিয়ালের পেপের সঙ্গে রুনির পুরনো ঝামেলা আছে এমনিতেই। বছর ছয়েক আগে একবার পেপে-কে কনুই দিয়ে ধাক্কা মারার জন্য লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় ইংরেজ মহাতারকাকে। যার পর থেকে দু’জনের সম্পর্ক ভাল তো হয়ইনি, উল্টে খারাপ দিকে গড়িয়েছে। পেপেকে পরে ‘বোধ-বুদ্ধিহীন’ বলতেও ছাড়েননি রুনি। |
রিয়াল ম্যাচের চাপ কী ভাবে নিতে হয় জানি।
ওয়েন রুনি |
|
কেউ কেউ ধরেই নিচ্ছেন, বুধবার রাতে পেপে-রুনির আবার ঝামেলা লেগে যেতে পারে। বের্নাবউতে রুনির অভিজ্ঞতাও বিশেষ ভাল নয়। একবারই খেলেছেন। দেশের হয়ে স্পেনের বিরুদ্ধে। কিন্তু বিরতিতে তাঁকে তুলে নেওয়া হয়। “সেই ম্যাচে আমি মোটেও ভাল খেলছিলাম না। আসলে ছন্দটাই পাচ্ছিলাম না। আশা করি, এ বার সে রকম কিছু হবে না,” বলে রেখেছেন রুনি।
রিয়াল বনাম ম্যাঞ্চেস্টার নিয়েও নিজের ভাবনাচিন্তা সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ফার্গুসনের সেরা অস্ত্র। রুনির কথায়, “আমি প্রচণ্ড উত্তেজিত। কারণ মাদ্রিদে বিশ্বের সেরা ক্লাব প্রতিযোগিতায় আমি নামতে যাচ্ছি। দু’টো টিমই খুব ভাল। আশা করছি, দুর্দান্ত ম্যাচ হবে। সমর্থকদের মন ভাল করে দেওয়া ফুটবলই খেলব।”
রুনি নামার আগেই যদিও মাঠের বাইরের যুদ্ধ চালু হয়ে গিয়েছে। রিয়াল কোচ হোসে মোরিনহো এক দিকে। অন্য দিকে ফার্গুসন। মোরিনহো যদি বাগ্যুদ্ধে ফার্গুসনকে ধ্বস্ত করে থাকেন, তো ম্যাঞ্চেস্টার ম্যানেজার আবার আমদানি করলেন নতুন চাল। বের্নাবউতে কোনও প্র্যাক্টিস সেশনের ব্যবস্থাই রাখলেন না ফার্গুসন। টিমের শেষ প্র্যাক্টিসও ম্যাঞ্চেস্টারে সেরে মাদ্রিদ রওনা হলেন দলবল নিয়ে। ফুটবলমহলের ধারণা, মোরিনহো যাতে ম্যাঞ্চেস্টারের স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কোনও রকম আন্দাজ না পান, তাই এই ব্যবস্থা! |