|
|
|
|
নিজ গৃহ নিজ ভূমি প্রকল্প |
আরও পাট্টা বিলিতে উদ্যোগী পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসন |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নিজ গৃহ নিজ ভূমি প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের পাশাপাশি যাতে আরও বেশি মানুষকে প্রকল্পের সুবিধে দেওয়া যায় তার পদক্ষেপ শুরু করল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
প্রশাসনের দাবি, এই প্রকল্পে ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে গিয়েছে। প্রত্যেকের দলিলের পাট্টাও তৈরি। ভবিষ্যতে যাতে আরও বেশি মানুষকে সুবিধে দেওয়া যায় সে জন্য জমি দেখার কাজ শুরু করা হয়েছে। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অরিন্দম দত্ত বলেন, “পাট্টা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল তা পূরণ হয়ে গিয়েছে। যাতে আরও কিছু মানুষকে এই সুযোগ দেওয়া যায় সে জন্য আরও জমি দেখা হবে। সেই জমিতে বিভিন্ন প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে।”
চলতি আর্থিক বছরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৬৯৪ জনকে প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ২ হাজার ১৪ জনকে জমির পাট্টা দলিল দেওয়া হয়ে গিয়েছে। আরও ২৬৮৫ জনের পাট্টার দলিল তৈরির কাজও শেষ। কিছু দিনের মধ্যেই তাঁদের হাতে পাট্টার দলিল তুলে দেওয়া হবে। এর বাইরেও আরও ২০৯ জন প্রাপকের জন্য জমি দেখা রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও অন্তত ১ হাজার উপভোক্তার জন্য জমি দেখতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। যাতে পরবর্তীকালে কোনও প্রকল্পে বাড়ি দেওয়ার সুযোগ এলে জমির জন্য প্রকল্প আটকে না থাকে।
বেশ কয়েক বছর আগেই জমি কেনার জন্য প্রায় ৫ কোটি টাকা পেয়েছিল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন। তখন অবশ্য প্রকল্পের নাম ছিল চাষ ও বসবাসের জন্য ভূমিদান প্রকল্প। এই প্রকল্পে এক জনকে জমি কিনে তাতে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল সরকার। কিন্তু সেই অর্থের সিংহভাগই খরচ করতে পারেনি জেলা প্রশাসন। চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অবশ্য বেশি জমি কিনতে হয়নি বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। সরকারি খাস জমিতেই হয়ে গিয়েছে। যে সামান্য জমি কিনতে হয়েছে তা পুরনো প্রকল্পের অর্থ থেকেই কেনা হয়েছে।
জমি তো হল, কিন্তু বাড়ি? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার জন্য নানা ধরনের প্রকল্প রয়েছে। কিন্তু সমস্যা ছিল জমির। উপভোক্তা চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রেও ছিল উদাসীনতা। তা সুষ্ঠু ভাবে করা গেলে বাড়ি তৈরিতে তেমন কোনও বাধা হবে না বলেই প্রশাসনিক কর্তাদের অভিমত। চলতি আর্থিক বছরে অর্থাৎ মার্চ মাসের মধ্যেই বেশিরভাগ বাড়ি তৈরি করা সম্ভব বলেও প্রশাসনিক কর্তারা জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|